জানুয়ারি ২৩, ২০২০
খননের পর বদলে যাবে শ্যামনগর আদি যমুনা নদী
গাজী আল ইমরান,শ্যামনগর প্রতিনিধি: ময়লা নোংরা আর আবর্জনায় ভরপুর শ্যামনগরের আদি যমুনা। আর এ থেকে দূষিত হচ্ছে গোটা এলাকা। জোয়ার ভাটা না থাকায় জলাবদ্ধতার অভিশাপে ভোগে এলাজুড়ে সাধারণ মানুষেরা। এই আদি যমুনা নদী দক্ষিণ-পশ্চিম উপক‚লীয় অঞ্চলের ঐতিহাসিক নদী আদি যমুনা। যমুনা নদী ইছামতির শাখা। ইছামতি ভারতে ২৪ পরগনা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দেবহাটা উপজেলার রাঁধানগরের কাছে এসে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা নির্ধারণ করে পূর্ব মুখো হয়ে নাজিমগঞ্জের পূর্ব পাশ দিয়ে কালিগঞ্জের মধ্যে প্রবেশ করে। কালিগঞ্জের মথুরেশপুরের পূর্ব ধার দিয়ে যমুনা মৌতলাকে পূর্ব পাশে রেখে ভূরুলিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে শ্যামনগর উপজেলায় প্রবেশ করে। এরপর শ্যামনগর সদরের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরীপুরের সোনার মোড়ের কাছে এসে যমুনা ও ইছামতি আবার দুভাগে ভাগ হয়। যমুনা পশ্চিম দিকে চিংড়াখালী সোনাখালীর মধ্য দিয়ে মাদার নদী নাম ধারণ করে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। সুন্দরবনের মধ্যে মাদার নদী নামে কিছু দূর অগ্রসর হয়ে পুনরায় যমুনা নদী নাম ধারণ করে বঙ্গপোসাগরে প্রবেশ করেছে। যার ফলে পূর্বে কোনদিন জলাবদদ্ধতার অভিশাপে খুব একটা ভুগতে হয়নি এ অঞ্চলের মানুষের। কিন্তু বর্তমানে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে শ্যামনগর সদর ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুমে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্তসহ জনসাধারণের জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। যমুনা তার বহমান হারানোর সাথে সাথে হারিয়ে ফেলেছে তার দখল দারিত্ব। যমুনার বুক চিরে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল সু-উচ্চ ভবন। যে যেভাবে পেরেছে দখল করে রেখেছে এ যমুনা নদী। একসময় লঞ্চ স্টিমার চললেও এখন একটি নৌকার দেখা মেলে না এ নদীতে। এলাকার সকল ময়লার চাপে প্রায় শ্বাস রুদ্ধ হওয়া যমুনা নদীকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন এবং শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু। যমুনা খনন এবং পরিষ্কারের মাধ্যমে এই বদ্ধ যমুনার বুক দিয়ে বয়ে যাবে ইছামতির পানি এমনটাই আশা করছে স্থানীয় জনগণ। 7,328,893 total views, 4,654 views today |
|
|
|