জুলাই ১৫, ২০২০
লাভ বেশী হওয়ায় কলারোয়ায় বর্ষা মৌসুমে টমেটো চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী, জয়নগর (কলারোয়া) প্রতিনিধি : বর্ষা মৌসুমে গ্রীস্মকালীন টমেটা চাষ কৃষকদের সফলতা এনে দিয়েছে। আর বর্ষা মৌসুমের টমেটো চাষে সফলতা পাওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে বাঁটরা গ্রামের কৃষকদেরও। টমেটো চাষে দাম ভালো পাওয়ায় তাদের আগ্রহ দিন কে দিন বেড়েই চলেছে। গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুন হারে বেড়েছে টমেটা চাষী। তবে অন্যান্ন চাষের তুলনায় টমেটা চাষে দ্বিগুন লাভ ব্যায়ও কম নয় তবুও পিচপা হচ্ছেন না কৃষকেরা টমেটো চাষে। বছরের এই সময়টা এলেই শুরু হয়ে যায় টমেটো চাষের প্রক্রিয়া বাঁশ খুঁটি পলিথিন দিয়ে টমেটো গাছের ছাউনি তৈরীর কাজ। এমনি মনোমুগ্ধ কর দৃশ্য চোখে পড়েছে বাঁটরা গ্রামের রাস্তার দুই ধারে ছাউনি তৈরীর কাজ প্রায় শেষ। চারা রোপনের জন্য তৈরী করা হচ্ছে রোপন কৃত স্থান। উপজেলার বাঁটরা গ্রামের টমেটো চাষি আব্দুল আলীম বলেন তিনি প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে বর্ষা মৌসুমের টমেটো বারি-৮ জাতের আবাদ করেছেন। তার জমিতে টমেটোর চারা গাছ রোপনের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও জানিয়েছেন বর্ষা মৌসুমের টমেটো চাষের ব্যায় অত্যান্ত বেশি হওয়ায় হিমসিম খেতে হচ্ছে। বিঘা প্রতি টমেটো চাষে খরচ পড়ে দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা। টমেটো চাষে বড় সমস্য কী জানতে চাইলে আব্দুল আলীম জানান টমেটো গাছের গোড়া পঁচা রোগ ও প্রচÐ রোদে তুলশি পড়ে গাছ মারা যেতে পারে। তবে গাছের গোড়া পঁচা রোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়েও কোন ভালো ফল পাননি গত বছরে তারা এমনি জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছে সরকার থেকে এবছর বারি-৮জাতের টমেটোর বীজ দিয়েছে টমেটো চাষীদের আমরাও পেয়েছি তবে আর্থিক ভাবে সাহায্য পেলে চাষের পরিমান বাড়াবে বলে জানিয়েছেন আব্দুল আলীম সহ অনেকে। এছাড়া একই এলাকার আকবর আলী তিনি ১বিঘা জমিতে বারি-৮জাতের টমেটো চাষ করেছে।
তবে কৃষক পর্যায়ের বাঁটরা এলাকার টমেটো চাষীদের দাবি সরকারী ভাবে আর্থিক সাহায্য পেলে তারা সঠিক সময়ে এবং টমেটো চাষের পরিমান বাড়াবে বলে জানিয়েছে।বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে চড়া সুদে ঝণ নিয়ে টমেটো চাষ করছে তাই সরকারী ভর্তুকি বা কৃষি ঝণের দাবি করছে কৃষকেরা। 8,640,212 total views, 5,211 views today |
|
|
|