জুলাই ৮, ২০২০
কলারোয়া যেন মাদক আর স্বর্ণের খনি এক সপ্তাহে চার কোটি টাকার মাদক ও স্বর্ণ জব্দ
কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়া সীমান্তে মাদক বেঁচা কেনার নিরাপদ রুট হিসাবে বেছে নিয়েছে চোরাকারবারীরা। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি ও থানা পুলিশ। করোনা কালীন সময়ে এ ব্যবসায় জোরদার করেছে মাদক চোরাকারবারীরা। সেই সাথে কিছু নামি দামি ব্যক্তিরাও সুযোগে সৎ ব্যবহার শুরু করেছে। তারা কিছু কিছু মাদক চোরাকারবারীদের চড়া সুদে টাকা দিচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে। গত ১৫ বছরেও এত মাদক ও স্বর্ণ কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়নি। যা করোনা ভাইরাসের মধ্যে হচ্ছে। গত ২৮জুন রোববার কেঁড়াগাছি সীমান্ত থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ৪ কেজি ৫শ’৪০ গ্রাম স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্যে প্রায় ২ কোটি ৬৮ লাখ ৫২ হাজার ৬৮৫ টাকার মতো। এর আগে ১৬জুন ভোর রাতে উপজেলার পারিখুপি গ্রামের জাহান আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (২২) কে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারসহ আটক করে পুলিশ। এর পর ২২জুন সোমবার ভোরে উপজেলার মাদরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে থানা পুলিশ। গত ২জুলাই বৃহস্পতিবার ২ কেজি গাঁজা, একটি ইজিবাইকসহ শার্শা উপজেলার মৃত আয়ুব আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৪০), কেশবপুরের মহিদ গাজীর ছেলে মতিয়ার রহমান (৪৮) কে কলারোয়ার বামনখালীর বদ্দিপুর গ্রাম থেকে আটক করে সরসকাটি ফাড়ি পুলিশ। ৪ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেঁড়াগাছি সীমান্তের মজুমদারের ব্রিজ এলাকা থেকে ৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি হিরো হাঙ্ক মোটর সাইকেল জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা। ওই দিন ৪ জুলাই শনিবার ভোর রাতে কেঁড়াগাছি সীমান্তের ভাদিয়ালী গ্রামের সোনাই নদীর পাড় থেকে ১২লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ২০ কেজি রুপার গহনা উদ্ধার করে টহলরত বিজিবি। এর আগে ১৬ জুন মঙ্গলবার সকালে কাজিরহাটের ৩রাস্তার মোড় থেকে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার ঝাপাঘাট গ্রামের মৃত মতিয়ার সরদারের ছেলে আব্দুস ছামাদকে ২০০ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি পিকআপসহ আটক করে। এখন চোরাকারবারীরা বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বেছে নিয়ে মাদক ও স্বর্ণ ব্যবসা। এছাড়া সীমান্তে চোরাচালান, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে। সীমান্তের গাড়াখালি, কাঁকডাঙ্গা, কেঁড়াগাছি, হিজলদী, চন্দনপুর, বড়ালী, ভাদিয়ালী, ফুলতলা বাজার, রামকৃষ্ণপুর বাজার, সোনাবাড়ীয়া বাজার সরকারী স্কুল মাঠ, বেলেডাঙ্গা বাজার, বোয়ালিয়া মাদরাসা ও টাওয়ারের মোড়, লাঙ্গলঝাড়া বাজার সংলগ্ন বাশতলা এলাকা, ঝিকরা গ্রাম, পূর্ব কোটা গ্রাম এলাকায় খুচরা মাদক বিক্রয় হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এলাকায় ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ থাকা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও এই অবৈধ পেশায় ও নেশায় মনোযোগী হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবি মাদক নির্মূলে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকলে অনেক অংশে কমে আসবে। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একটু নজর বৃদ্ধি করলে অনেক অংশে মাদক দ্রব্য চোরাচালান কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মাদক আর স্বর্ণ নিয়ে কথা হয় সীমান্তের একাধিক পয়েন্টের সাধারণ মানুষের সাথে। তাদের দাবি এদেশ থেকে যায় স্বর্ণ বিনিময়ে ভারথে আসে ফেনসিডিল নামের জীবন সংহারী মাদক। সীমান্তবাসি আরো বলেন, এ দেশের চোরাচালানীরা ভারতে স্বর্ণ বেচে কেউ নগদ টাকা নিয়ে আসে না। আর বাংলাদেশে ভারতীয়রা মাদক বেঁচে কেউ নগদ টাকা নিয়ে যায় না। ভারতীয়রা সব সময় স্বর্ণ নিয়ে হয় গরু না হয় মাদক দিয়ে স্বর্ণ মূল্য পরিশোধ করে থাকে। 8,641,587 total views, 6,586 views today |
|
|
|