জুন ২১, ২০২০
অপহৃত স্ত্রী ও শিশু ছেলেকে উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : কলারোয়ার চিহ্নিত লম্পট কানা বাদলের কবল থেকে স্ত্রী ও শিশু ছেলেকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগী অসহায় কৃষক। রবিবার (২১ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগীখালী গ্রামের মৃত. শামছুর গাজীর ছেলে মো. রাজু গাজী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত দুই বছর আগে কলারোয়া উপজেলার গাজনা গ্রামের কালাম মোড়লের মেয়ে কেয়া’র সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক আমার বিয়ে হয়। আমাদের ৫ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান আছে। আমার সাথে বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে একই উপজেলার পরাণপুর গ্রামের মৃত. সিদ্দিক সরদারের ছেলে মোক্তারুল ইসলাম (বাদল) ওরফে কানা বাদল প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এক পর্যায় আমার স্ত্রী কেয়ার উপর কু-নজর পড়ে কানা বাদলের। আমার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে লম্পট কানা বাদল আমার অগোচরে গোপনে আমার স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দিতো। তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় সে আমাকে এবং আমার শিশু ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে আমার স্ত্রী কেয়াকে তার প্রেমে রাজি হতে বাধ্য করে। এমনকি বাদল আমার স্ত্রীকে তার প্রেমে রাজি করাতে আমার শিশু ছেলের পায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেয়। তার এসব কর্মকান্ডে আমার স্ত্রী সব সময় ভীতসন্ত্রস্ত ছিল। কিন্তু আমার ও শিশু ছেলেকে হারানোর ভয়ে আমার স্ত্রী কেয়া কোনদিন কাউকে কিছু না বলে নীরবে থাকতো। রাজু গাজী অভিযোগ করে বলেন, এসব ঘটনার এক পর্যায় গত ৮ জুন‘২০ আমার স্ত্রী কেয়া শিশু ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে আসার পথে মোক্তারুল ইসলাম বাদল তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও বাদলের কবল থেকে এখনও আমার স্ত্রী ও শিশু ছেলেকে উদ্ধার করতে পারিনি। গত ১৮ জুন আমার শ্বশুর কালাম মোড়ল তার মেয়ে ও নাতিকে বাদলের কবল থেকে উদ্ধারের দাবিতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনের পর উক্ত কানা বাদল আমার ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছ। মোবাইলের মাধ্যমে সে আমার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে বলছে “এনিয়ে বেশি বাড়বাড়ি করলে আমাকে খুন জখম ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে”। এমনকি ২১ জুন রবিবার সকালে স্ত্রী কেয়া আমার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে বলে, “আমি মরেছি, মরেছি কিন্তু তোমরা কেন কানা বাদলের সাথে বিরোধে জড়িয়ে মরতে যাচ্ছ”। তিনি আরো বলেন, মাত্র ৫ মাসের শিশু সন্তানকে হারিয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা পাগলের মত হয়ে পড়েছে। আমি নিজেও মর্মাহত। বাদল এতটাই জঘন্য যে মাত্র ৫ মাসের শিশুকে জিম্মি করে নির্যাতন চালিয়ে তার স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। বাদল ইতিপূর্বেও একাধিক নারীকে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সংসার ভেঙেছে। বাদল নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার কারণে তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ওই কানা বাদল বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে শুধু আমার সোনার সংসার ভেঙেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, সে আমার কলিজার টুকরা ৫ মাসের শিশু ছেলেকে আটকে রেখে আমাদেরকে মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। 8,642,270 total views, 7,269 views today |
|
|
|