মে ৩০, ২০২০
কয়রায় ভাঙন কবলিত এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাঁধের কাজ সমাপ্ত
কয়রা প্রতিনিধি : সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদীর গোবরা, ঘাটাখালি ও হরিণখোলার ভাঙন কবলিত এলাকার বেড়ি-বাধ সংস্কারের কাজ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় স্থানীয় উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিগত কয়েক দিন আগে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়ি-বাধের রিং বাঁধের কাজ শুরু হয়। সাংসদ বাবুর নির্দেশনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জি এম মোহসিন রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার সরদার এর উদ্যোগে শনিবার (৩০ মে) ভোর থেকে দলীয় নেতা কর্মী সহ হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে বাঁশের খুঁটি পুতে ও বালির বস্তা ফেলে বাঁধ দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ‘সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর হস্তক্ষেপে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ১ লক্ষ প্লাস্টিক বস্তা, বাঁশ, দড়ি, পেরেক সরবরাহ করা হয়। এছাড়া স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মহারাজপুর, দক্ষিণ বেদকাশি ও কয়রা সদর এখন নদীর পানি ঢোকা বন্ধ আছে’। কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে নদীর ভেড়ি-বাধ ভেঙে পানিতে ভিটে বাড়ি, মৎস্য ঘেরে পানি ঢুকে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এর মধ্যে কিছু ধান্দাবাজ এই ভাঙন কবলিত এলাকা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। এসব মুখোশধারী মানুষদের জঘন্য হাস্যকর ফাজলামোতে নজর না দিয়ে সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু’র নির্দেশনায় এলাকার সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে ঝুড়ি কোদাল আর বস্তা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন কবলিত ভেড়ি বাঁধের কাজ শেষ করেছি। এই কাজে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ এলাকার হাজার মানুষ অংশ নেয়। সকলে সাড়া দিয়েছে ভাঙন কবলিত এলাকা ভেড়ী বাঁধের রিং বাধের কাজ করেছে। যার ফলে আমরা দ্রæত পানি আটকাতে পেরেছি। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন, ‘বাঁধটি আপাতত সাময়িকভাবে রক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। আগামী গোনের আগে অতি দ্রæত এখানে সরকারিভাবে কাজ করা দরকার। কাজ না করলে যে কোন সময় জোয়ারের পানি, বৃষ্টি-বাদল ও জলোচ্ছ¡াসে বাঁধটি পুনরায় ভেঙে যেতে পারে’। 8,414,120 total views, 2,273 views today |
|
|
|