অক্টোবর ২১, ২০১৯
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারশীপে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
ডেস্ক রিপোর্ট: শ্যামনগরের কৈখালীতে আওয়ামী লীগে অনুপ্রেবশকারীরা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারশীপ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লবাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, উপজেলার জয়খালী গ্রামের শেখ আবু দাউদের ছেলে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কৈখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম ও উপজেলা ফুড অফিসার হোসাইনের নেতৃত্বে আ’লীগে অনুপ্রবেশকারী (জামায়াত-বিএনপির সদস্য) পরানপুরের রাজাকার পুত্র মামলাবাজ বাবলুর রহমান ওরফে ভন্ড বাবু, চিহ্নিত প্রতারক আনারুল, ডা. মুজিবর ও আবুল কালাম শুভ’র মাধ্যমে কৈখালী ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রীর সফল প্রকল্প খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল বিতরণের কার্ড তৈরি করা হয়। আর এই কার্ড তৈরিতে চরম অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেন তারা। তারা স্বজনপ্রীতি, ভুয়া নাম তালিকায় অন্তভর্‚ক্ত, চাউল চুরি, কার্ড চুরি, একই পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ, মৃত্যু ও প্রবাসীর স্ত্রীসহ একই পরিবারের অন্ন-ভুক্ত সদস্যদের দিয়ে নামে বেনামে তালিকা তৈরি করেন। এরপর হাইব্রিড নেতা রেজাউলের সহযোগিতায় উক্ত ৪ জন এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারশীপও গ্রহণ করেন। এই কার্ড থেকে তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তারা এই প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের ষড়যন্ত্রে অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, আমি ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বিষয়টি জানতে পেরে তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এবং তাদের পেটোয়া বাহিনীকে দিয়ে গত ১৯ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন মানববন্ধন করে। আমি উক্ত মানববন্ধনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের ২৪ জুন ভোল পাল্টে আ’লীগে অনুপ্রবেশকারী সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউলের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে তা বিক্রি, আ’গের ত্যাগী নেতাদের নামে মামলা, স্থানীয় আ’লীগ কার্যালয় বিক্রিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। তার কারণে অত্র এলাকায় আ’লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া তার পিতা আ: করিমের হাতে নির্যাতিত হয়ে বহু হিন্দুরা সম্পত্তি ফেলে ভারতে পালিয়ে গেছে। তার দাদা জামায়াত নেতা কেফাতুল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পিচ কমিটির নেতা ছিলেন। এমাতাবস্থায় তিনি (বর্তমান চেয়ারম্যান রহিম) হাইব্রীড আ’লীগার রেজাউল করিম ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তার পরিষদের ৯ জন পুরুষ ও মহিলা সদস্যবৃন্দ। 7,329,583 total views, 5,344 views today |
|
|
|