শেষ বিকেলের সূর্য যখন গোধুলী রং মাখে বাঁধন হারা পাখির দল নীড়ে ফিরতে থাকে। সাঁঝের মায়ায় ছুটে আসে পান কৌড়ির ঝাঁক দূরের গাঁয়ে যায় যে শোনা ঘরে ফেরার ডাক। আয়রে বাছা আয় ফিরে আয় আয়রে মায়ের কোলে তোকে ঘিরে শূন্য কোলে কত স্বপ্ন দোলে। অস্ত রবি যায় হারিয়ে সুদূর পরপারে রাত্রি নামে ধরাতলে ‘কে ঠেকাবে তারে’। গাছের শাখায় নিকশ কালো আঁধার মেলে পাখা একটু দূরে পথের বাঁকে যায় না কিছু দেখা। ক্ষণিক পরে পূর্ব আকাশে উকি মারে চাঁদ পূর্ণিমারই জোৎনা বানে স্বপ্ন ধরা ফাঁদ। মনের মাঝে দুলে ওঠে হাজার রঙের ধারা সেই খুশিতে ইচ্ছেগুলো হয় যে বাঁধন হারা। শিশির ভেজা পথের ধুলোয় আলোর নাচন ঘিরে রাত্রি শেষে মন বিষাদে শিউলি পড়ে ঝরে। এমনি করে বাঁধন হারা রাত্রি জাগা পাখি শূন্য বুকে কষ্ট রেখে করে ডাকাডাকি। জোৎনা রাতে ডাহুক ডাকে বিষন্ন সে সুর সাথীকে যে হারিয়েছে ভাবনা থেকে দূর। মনের মাঝে পুষে রাখা অনেক দিনের সাধ পাখনা মেলে চায় হারাতে খুলে সকল বাঁধ। ছেড়া ছেড়া ভাবনাগুলো জুড়ে জুলে মালা কাঁঠালচাপার গন্ধ মেখে পৌষ পাবনের পালা। তারি মাঝে হরেক রকম বুনো ফুলের রং পুষ্প রেণু পায়ে নিয়ে প্রজাপতির ঢং। ইচ্ছে করে ধরি তারে মাখবো বলে রেণু অমনি মনে বেজে ওঠে হাজার তারার বেনু।
8,584,147 total views, 833 views today