মে ৩, ২০২৩
রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম
নিজস্ব প্রতিনিধি : বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়টির ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। দেয়ালের ইট বের হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্লাসে বসছে না। এমন করুণ দশা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক মরহুম ডা. এম.আর খান তার নিজ গ্রাম রসুলপুরে রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। অত্র এলাকাসহ স্থানীয় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টিতে পড়াশোনা করছে। শ্রেণীকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো ভবনে চলছে বিদ্যালয়টির পাঠদান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ছোট আকারে পাকা ভবন। ভবনের প্রায় সব কক্ষই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান ও পাঠগ্রহণ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া, মুর্শিদা, লামিয়া, শাওন ও সাকিব এবং ৮ম শ্রেণির ‘খ’ শাখার ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে শিক্ষার্থী রিমি খাতুন, রাকিবা ইসলাম, মেহেরিন ও রুবাবা খাতুন জানায়, শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে প্রায়ই নিচে পড়ে। ক্লাস শেষ করে স্যার চলে গেলেই আমরা ক্লাস থেকে বের হয়ে যাই। কেননা আমরা সব সময় ভয়ে থাকি, কখন ছাদের পলেস্তারা ভেঙে মাথায় পড়ে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অজিত কুমার সরকার জানান, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলি চিহ্নত করে তালিকা তৈরী করতে। আমরা খুব শিগগিরই তালিকা করবো এবং রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সেই তালিকায় অবশ্যই থাকবে। 8,601,618 total views, 9,497 views today |
|
|
|