জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
কলারোয়ার শাকদাহে নাজিমুদ্দীনের মিথ্যা মামলা হয়রানির শিকার ইস খানসহ ৫ জন: সুবিচার প্রার্থনা
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ার পল্লীতে মিথ্যা মামলা দিয়ে নারীসহ ৫ কৃষককে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে মামলাবাজ সন্ত্রাসী নজিম উদ্দীন খাঁনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি জমি জমা সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলারোয়া উপজেলার শাকদাহ খান পাড়ার মৃত আনোয়ার হোসেনের পুত্র জামায়াতের সংগঠক মো: নাজিমুদ্দীন খাঁন কথা কাটাতি লিপ্ত হয়। পরে মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে পাশর্^বর্তী মনিরামপুর উপজেলার মশি^ম নগর ইউনিয়ন থেকে ৫ টি মোটর সাইকেলে ১০/১২ জন ভাড়া করা সন্ত্রাসী ডেকে আনে। এসময় তারা নাজিমুদ্দীনের সাথে সংগঠিত হয়ে একই গ্রামের মৃত নওয়াব আলী খানের ছেলে মো: আলী হোসেন খাঁন মো: খালিদ খাঁন মো: ইদ্রিস আলী খান, মো: খালিদ খানের ছেলে মো: বাবলু খাঁন, মৃত নওয়াব আলী খাঁনের স্ত্রী মোছা: ফাতেমা খাতুনের উপর হামলা করে। এসময় তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। বিষয়টি ইদ্রিস হোসেন খান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আ.লীগের সভাপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করলে তারা বিষয়টি নিয়ে শালিস মীমাংসা করা হবে বলে ইদ্রিস হোসেন খাঁনসহ আহতদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এরই মধ্যে কে বা কারা মিথ্যা মামলার বাদী নাজিমুদ্দীনকে মিথ্যা প্রচার দিয়ে জানায়, ইদ্রিস হোসেন খান গংরা নাজিমুদ্দীন গংদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলা থেকে বাঁচতে কলারোয়া থানায় পাল্টা একটি মামলা করতে হবে প্রচারকরা নাজিমুদ্দীনকে উদ্বুদ্ধ করে। এরই মধ্যে গত ২২ জানুয়ারী মো: নাজামুদ্দীন বাদী হয়ে ঘটনার দিন ও সময় উল্লেখ করে কলারোয়া থানায় তাদের হাতে মারপিটের শিকার আহদের নামে মিথ্যা একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় ইদ্রিস হোসেন গংদের হামলায় নাজিমুদ্দীন পক্ষের লোকজন জখম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। যাহা মিথ্যা ও উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত। মনগড়া মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য ঘটনার দিন ধারল দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, জখম করা হয়েছে বলা হয়। মামলায় একাধিক ধারা সংযোজন করার জন্য রেকর্ডিয় জমির উপর গাছপালার ক্ষতি সাধন, নারীদের কাপড় টানা হেচড়া, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়া ও নগদ টাকা লুট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাকদাহ গ্রামবাসি জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে তুচ্ছ ঘটনা ঘটলেই এক পক্ষ শালিস ডাকলে অন্য পক্ষ মামলার হুমকি দেয়। এদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ উসকানি দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। 8,641,947 total views, 6,946 views today |
|
|
|