জুন ২৯, ২০২২
কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার অস্ত্র আইনের মামলায় আজ প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরার অতিািরক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং স্পেশাল ট্রাইবুনাল-৩ এর বিচারক বিশ^নাথ মÐলের আদালতে ৪৯ জন আসামীর মধ্যে তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪০ জন আসামীর উপস্থিতিতে আজ বুধবার এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য দিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমানর পিন্টু, অ্যাড. শাহানারা পারভিন বকুল। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত এটর্ণি জেনারেল অ্যাড.এসএম মুনীর, সহকারি এটর্ণি জেনারেল অ্যাড. মোঃ শাহীন মৃধা, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যসোসিয়েশনের সহসভাপতি অ্যাড. মোহম্মদ হোসেন প্রমুখ। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির জানান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আজ প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। আগামী ১৪ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। ঘটনার বিররণে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন এমপি হাবিবসহ বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় তৎকালিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, শহিদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। এ ঘটনায় থানা মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদি হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৭৫ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৮জনকে সাক্ষী করা হয়। বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মহামান্য হাইকোর্ট নি¤œ আদালতে মামলার কার্যক্রম নতুন করে শুরু করার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। মুখ্য বিচারিক হাকিম নিতাই চন্দ্র সাহা ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। ২০১৫ সালের ১৭ মে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে এসটিসি ২০৭/১৫, এসটিসি ২০৮/১৫ দু’টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতে বিচারাধীন। অপর টিআর ১৫১/১৫ মামলাটি ২০২১ সালের ৪ ফেব্রæয়ারি অভিযোগপত্রে উল্লেখিত তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে চার থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এরমধ্যে আসামী মাহাফুজুর রহমান সাবু কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চলতি বছরের গত ১৬ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। 8,582,480 total views, 10,250 views today |
|
|
|