এপ্রিল ১৫, ২০২২
খাজরায় তরমুজ চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে
নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরায় মৌসুমী তরমুজ চাষে সফলতা আসতে শুরু করেছে। ফলে কৃষকদের তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। নতুন নতুন তরমুজ ক্ষেত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,এ অঞ্চলে সাধারণত জানুয়ারী-ফ্রেবুয়ারীর শেষ থেকে তরমুজ চাষের মৌসুম শুরু হয়। অনেকে নিজস্ব জমি,আবার কেউ অল্প টাকায় জমি বর্গা নিয়ে চাষ শুরু করেছেন। এভাবে যদি ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় তাহলে জমির ইজারা মূল্যও কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। সেচের ব্যবস্থা করে পতিত জমিতেও তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আরোও জানা যায়,তরমুজ চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় এলাকায় মিষ্টি পানির অভাব। এলাকার সরকারি খালগুলোর গভীরতা থাকলে,খালে জমাকৃত মিষ্টি পানি দিয়ে আরো নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে স্থানীয় কৃষকরা উৎসাহিত হত। এক ফসলী উৎপাদন থেকে কৃষকরা বেরিয়ে এসে বহুমুখি ফসল ফলাতে পারত। ইউনিয়নের খালিয়া,মুরারীকাটি,ফটিকখালী,দুর্গাপুর বিলে এবারও তরমুজ চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে দূর্গাপুর বিলে বেশি জায়গা নিয়ে দুজন চাষি এবারও তরমুজ চাষ করেছে। খালিয়া গ্রামের অমল মন্ডল অল্প জায়গা সবজির চাষের সাথে তরমুজের চাষ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন জানান,আমি ১০বছর ধরে তরমুজের চাষ অন্য জেলা করতাম। এ দুবছর আমার গ্রামের দূর্গাপুর বিলে জমি বর্গা নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেছি। প্রথম বছর অনাবৃষ্টির কারনে ফসল ভাল হয়নি। এবারও দূর্গাপুর বিলে প্রায় ১৫ একর জমিতে আমি তরমুজের চাষ করেছি। প্রত্যেক গাছে ফলন এসে গেছে। আর ১০ -১৫ দিন পর পরিপক্ষ তরমুজ বাজারজাত করতে পারব। তিনি আরও জানান,চাষের থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত বিঘা প্রতি আমার ২০হাজার টাকার মত খরচ হবে। ভাল ফলন হলে বিঘা প্রতি ৫০হাজার টাকা কেনাবেচা হবে। আশা করি লাভবান হব। স্থানীয় কৃষকদের দাবি,খাজরা ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে সরকারি খালগুলো অবৈধ দখল মুক্ত করে পূনখনন করে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হোক। ফলে এই খালগুলোর মিষ্টি পানি ব্যবহার করে এই অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। 8,618,845 total views, 10,502 views today |
|
|
|