আগস্ট ২০, ২০২০
রিং বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ফের পানি
নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রিং বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে লোনা পানি। এতে ওই দুই উপজেলার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আরও কিছু গ্রামের মানুষ শঙ্কায় রয়েছেন। জানা গেছে, আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট গ্রামের রিং বাঁধের কমপক্ষে ৫ টি পয়েন্টে ভেঙে লোকালয়ে ফের পানি ঢুকেছে। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে সাগরে নিন্মচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণ, অমাবস্যা গোন ও পুবালি ঝড়ও বাতাসের ফলে খোলপেটুয়া নদী ও কপোতাক্ষ নদের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। এতে তিন মাস আগে আম্পানে ভেঙে যাওয়া সদরের দয়ারঘাট গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর পানি আটকানোর জন্য নির্মিত রিং বাঁধটির বিভিন্ন স্থান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে শ্যামনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় নাজুক বেড়ি-বাঁধের উপর দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে জোয়ারের পানি। ইতিমধ্যে গাবুরা লেবুবুনিয়া ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা এবং মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মধ্যে আছে গাবুরা চকবারা, হরিশখালি, মুন্সিগঞ্জের কদমতলা, চুনকুড়ি ও বুড়িগোয়ালিনীর চুনার ¯øুইজগেট সংলগ্ন চুনার জেলে কল্যাণ সমিতির পাশে ঈদগাহ ময়দানের সামনের, দাতিনাখালি, বুড়িগোয়ালিনী, কলবাড়ি। বুড়িগোয়ালিনীর চুনার ¯øুইজগেটের পাশে, চুনার আশ্রয়ণ প্রকল্প ও দাতিনাখালির আব্দুল আজিজের বাড়ির সামনে দিয়ে পানি লোকালয় প্রবেশ করছে। প্রাথমিকভাবে উপচে পড়া পানি ঠেকানো সম্ভব না হলে বড় ধরনের ভাঙনের সম্ভাবনা আছে। সাধারণ জনগণ ইতিমধ্যে বেড়ি-বাঁধ সংস্কার করার জন্য এগিয়ে এসেছে। অমাবস্যার গোন থাকায় বেড়ি-বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি আম্পানে যেটি হয়েছে সেটির পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রæত ভাঙন কবলিত জায়গাগুলো মেরামত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও শাহনাজ পারভীনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা প্রতিটি ভাঙন কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে লোক পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি আপ্রাণ চেষ্টা করব যাতে সবগুলো টিকিয়ে রাখা যায়। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। 8,462,175 total views, 9,771 views today |
|
|
|