এপ্রিল ৯, ২০২০
চোরাই পথে সাতক্ষীরায় ফিরছে ভাটা শ্রমিক: বাড়ছে আতঙ্ক
নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। এরই মাঝে চোরাই পথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বাড়িতে ফিরে আসছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলার বাইরে থেকে আসা যানবাহন সাতক্ষীরায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা যথার্থ পালন করা হচ্ছে না বলে মনে করছেন সাতক্ষীরাবাসী। ফলে জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা থেকে পালিয়ে আসা ২টি ট্রাক ও একটি পিকাপে (৩৮ জন, ৩১ জন, ১৭জন) মোট ৮৬ ব্যক্তিকে আটক করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ওই ভাটা শ্রমিকরা সবাই আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঐ এলাকার ইউপি সদস্যদের হাতে তাদেরকে হস্তান্তর করে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দেশ দেন। একই সাথে ২ জন ট্র্রাক ড্রাইভারকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ভ্রাম্যমান আদালতে। এছাড়া গত ২/৩ দিনে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সাতক্ষীরায় ফিরে এসেছে কয়েক শত মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন কৌশলে ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোসহ ছোট খাটো যানবাহনে তারা বাড়িতে ফিরেছে বলে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ নিশ্চিত করেছেন। ফলে স্ব স্ব এলাকায় করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। জানা গেছে কৌশল অবলম্বন করে যে সব মানুষ সাতক্ষীরায় এসেছে তাদের অধিকাংশই ইটভাটা শ্রমিক। কৌশলে ফিরে আসা শ্রমিকরা জানায়, ‘ট্রাকের উপরে পলিথিন দিয়ে প্রত্যেক ট্রাকে ৩০ থেকে ৪০ জন পর্যন্ত মানুষ একসাথে ট্রাকের বডিতে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছেন। এদিকে সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নে গত রাতে কয়েকজন ভাটা শ্রমিক এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন সূত্র। তবে অধিকাংশ সূত্র জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাতক্ষীরায় ফিরে আসা ভাটা শ্রমিকসহ অন্যান্য শ্রমিকরা অধিকাংশই শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, ‘শ্যামনগর উপজেলার বহু মানুষ ইটভাটায় কাজ করে। অনেকেই তারা এলাকায় ফিরছেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংসদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আলোচনা হয়েছে। সেখানে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রাইমারী স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এ খবর পেয়ে সাতক্ষীরার প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী অফিসার, চেয়ারম্যানগণকে এ ধরনের মানুষদের চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেনন্টেইন নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে’। 8,474,871 total views, 2,511 views today |
|
|
|