কিসের একটি অস্তিত্ব আমি দেখতে পাই দিব্য চোখে,
গোলাকার সাদা তুলার মত
উড়ে উড়ে বেড়ায় আমার চারিপাশে,
আমার অস্থির চেতনাকে স্নিগ্ধ করার অরাক আছে ওতে,
কিংবা আমার ফাঁকা মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলো দিয়ে তৈরি যেন ওটি,
কখনও মনে হয় ও আমার হৃদপি-,
ওর অভাবে আমার শিরা উপশিরায় রক্তের প্রবাহ বন্ধ,
বা প্রাণবায়ু, কি আমার ফুসফুস?
আমার শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ প্রায়?
ধরতে গেলে ওটা দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়,
পারদের মত আঙ্গুলের ফাকা দিয়ে গলিয়ে যায়,
পরাগের মত কিছু একটা লেগে যায় আমার হাতে
হাতদুটো ঘুরিয়ে আনি আমার সমস্ত শরীরে,
তাতে যেন বন্ধ হওয়া শ্বাস-প্রশ্বাস হালকা চলতে থাকে।
ওর দিকে চেয়ে আছি বলেই কি আমি বেঁচে আছি?
ওর থেকে একটা রশ্মি এসে অনবরত প্রবেশ করে আমার রেটিনায়
আর একটা উষ্ণ প্রবাহ ঢেউ তুলে যায় সমস্ত শরীরে আমার,
যেন শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন এনার্জি।
কি একটা শব্দ শুনে উঠে গিয়েছিলাম লিখতে লিখতে
না, কিছুই না, মনের ভ্রম,
আমার চারিপাশে আর কিছু যেন নেই
শুধু ঐ বস্তুটি ছাড়া,
ওটি আমার আত্মা নয়ত?
যে আমার শরীর থেকে আলাদা হতে চাইছে?
যাক বাবা, আমি ঘুমাব, গভীর ঘুমে,
যে ঘুম আর ভাঙ্গবে না,
অফুরন্ত শান্তির রাজ্যে বিচরণ করতে থাকবে আমার আত্মা
তাই হোক, তাই হোক।