নভেম্বর ১৭, ২০২৪
দুদকে অভিযোগ দেওয়ায় সাতক্ষীরায় ঠিকাদার শফির বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেওয়ায় ঠিকাদার শফিউর রহমান শফির বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দূর্ণীতিবাজ আবুল খায়েরের দূর্ণীতি ঢাকতে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে একটি মহল। তারা ঠিকাদার শফিউর রহমান শফির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে নানামুখী অপপ্রচার শুরু করেছেন। সাতক্ষীরার ইটাগাছা এলাকার ঠিকাদার শফিউর রহমান শফি বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালিন সময়ে আবুল খায়ের সীমাহীন দূর্ণীতি, লুটপাট করায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই সূত্র ধরে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমীতে দুদকের গণশুনানীতে আমি আবুল খায়েরের দূর্ণীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি এবং মৌখিকভাবে মাইকে জানায়। এরপর আবুল খায়েরের বিষয়টি দুদক আমলে নিয়ে এই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারী আমাকে তথ্য ও প্রমাণের কাগজপত্রসহ দুদক খুলনায় চিঠির মাধ্যমে ডাকে। আমি তথ্য প্রমাণসহ সেখানে হাজির হয়ে জবানবন্দি প্রদান করি। এরপর থেকে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে আবুল খায়ের। এছাড়া তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকিও দিয়ে যাচ্ছেন যাতে তার বিরুদ্ধে আমি আমার অভিযোগ প্রত্যাহার করি। এছাড়া বর্তমানে আবুল খায়ের আমার জীবনহানীর জন্য সাতক্ষীরার কতিপয় দূষ্কৃতিকারী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি আরো বলেন, আমি নাকি পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি চালাচ্ছি বলেও ওই মহলটি অপপ্রচার চালাচ্ছে। পুলিশের ব্যবহৃত মিক্সুমিশু পাজারো গাড়িটি ঢাকার উত্তরার আর্মস ব্যাটালিয়ন পুলিশের কাছ থেকে মইনুল ইসলাম নামের একজন অকশানে ক্রয় করেন এরপর তার কাছ থেকে আমি ক্রয় করি এবং তিনি আমাকে এফিডেভিট করে দিয়েছেন। এছাড়া আমি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতাম। আমি কোন চোরাচালানী বা চোরাকারবারীর সাথে জড়িত না। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী নিজের দুর্নীতি ও অনিয়ম ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি এই দূর্ণীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের দূর্ণীতি ও অনিয়মের স্বচ্ছ তদন্ত এবং তদন্ত সাপেক্ষে তার শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।’ সাতক্ষীরা শহর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শফিউর রহমান শফি একজন ঠিকাদার। তার কি টাকার অভাব হয়েছে যে তিনি ঠিকাদার হয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে চাঁদা চাবেন? শফিউর রহমান বিএনপির কেউ না। তাহলে তিনি কেন বিএনপির অফিসের টেবিল চেয়ার ক্রয়ের দায়িত্ব নেবেন। তিনি প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা দান করেন। তার অতো টাকার অভাব হয়নি যে তাকে চাঁদাবাজী করতে হবে। আমি আমার জমি বিক্রি করে আমাদের ইটাগাছা বিএনপির অফিসের চেয়ার টেবিল কিনেছি। শফিউর রহমান শফি একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। তার সম্মানহানির চক্রান্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’ সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালাউদ্দীন বলেন, ‘কয়েকজন ব্যক্তি আমার অফিসে এসে ঠিকাদার শফিউর রহমানের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমাদের সাথে তার শুধুমাত্র ঠিকাদারীর সম্পর্ক বলে আমি জানিয়েছি। তবে টাকা সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদের সাথে আমার কোন কথা হয়নি। আমার বিবৃতি দিয়ে ২ লাখ চাঁদার টাকা নেওয়ার ব্যাপারে যে কথা বলা হচ্ছে সেটি একেবারে মিথ্যা। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শফি নামের একজন ঠিকাদার আছেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারী করেন বলে শুনেছি। তবে তার সাথে আমার এখনও পরিচয় বা স্বাক্ষাৎ হয়নি। এছাড়া ইটাগাছায় বিএনপির অফিসের চেয়ার টেবিল ও ক্রয়ের জন্য শফি বা অন্য কাউকে আমি কোন টাকা দেইনি। শফিকে আমি চিনিই না ফলে তাকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা।’ 8,509,490 total views, 2,944 views today |
|
|
|