সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে সখিপুর মোড় পর্যন্ত মহাসড়কে মরন ফাঁদ, দূর্ভোগ চরমে
কুলিয়া (দেবহাটা) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কে বাঁকালে মেডিকেল কলেজ থেকে সখিপুর মোড় পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দকে পরিনত হয়ে এখন মরন ফাঁদ তৈরি হয়েছে। সড়কে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তি এখন চরম পর্যায়ে পৌছেয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আলিপুর চেকপোস্টের কাছাকাছি বেশ কিছু এরিয়া, আলিপুর হাটখোলার পাশে কিছু এরিয়া, বহেরা থেকে একটানা সখিপুর মোড় পর্যন্ত এলাকা বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে গর্তগুলো মরদ ফাদে পরিনত হয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে এই রোডে যাতায়াতকারী রোগীদের ক্ষেত্র্ েমেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা সদর হাসপাতাল অবদি পৌছানোর পূর্বে আরো অসুস্থ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া ধুলাবালির কারনে যাতায়াতকারী মানুষের ফুসফুসে রোগাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। তবে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, সড়কের এই অবস্থার জন্য সড়ক বিভাগের গাফিলাতি সবচেয়ে বেশি দায়ী। তারা কোন রকমে জোড়া তালি দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে দায় সারে। অল্প গর্ত মেরামত করার সময় ধুলাবালির উপরে পাথর কুচি দিয়ে তার উপরে সামান্য প্রশ্নবিদ্ধ পিচ ঢেলে দেয়। এতে সাথে সাথে দেখলে মনে হয় রাস্তা ঠিক হয়েছে। কিন্তু ফলে আসল রাস্তার সাথে বাস্তবে কোন পাথর জোড় লাগেনা। এবং ভিতরে ফাকা থাকার কারনে একবার বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে সেই জায়গা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এছাড়া ইদানিং লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু কিছু স্থানে আস্ত ইট ভেঙে গর্ত পুরন করে দিয়ে যাচ্ছে। যা পরবর্তী এক ঘন্টার মধ্যে সেই যা তা হয়ে যাচ্ছে। এদিকে সড়কের গর্তে পানি জমে রাস্তা ডোবায় পরিনত হওয়ার মূলে রয়েছে পানি সরানোর জন্য কোন ড্রেন ব্যবস্থা না করা। খামখেয়ালিপনা লোক দেখানো কাজ করে এতদিন সরকারের অর্থ অপচয় করছে সড়ক বিভাগ। এছাড়া নতুন রাস্তা করার সময় ঠিকাদার , সড়ক বিভাগ ও পূর্বের রাজনৈতিক নেতাদের ভাগ বাটোয়ারার কারনে সড়কে যেভাবে কাজ হবার কথা তা হয়নি। কিছু এলাকায় সড়ক বিভাগ বাধ্য হয়ে পিচের রাস্তার পরিবর্তে ইটের রাস্তা তৈরি করছে। সেখানে সাধারন মানুষ প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে পিচের রাস্তার চেয়ে ইটের রাস্তা কিভাবে শক্তিশালী হলো? ইটের রাস্তা যদি ভালো হয় তাহলে পিচের রাস্তার কি দরকার? দীর্ঘ এই সড়কের রাস্তা পার হতে আধাঘন্টার স্থলে এখন লাগে দেড় ঘন্টা। এসব সমস্যা লাঘবে সাধারন মানুষ সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল হয়ে জনবান্ধব ও দীর্ঘস্থায়ী রাস্তা সংস্কার করার আহবান জানিয়েছে। 8,549,215 total views, 16,547 views today |
|
|
|