ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
পাইকগাছায় বঙ্গবন্ধু চত্বরের জায়গা দখলের চেষ্টা!
এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছা থানা সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরের জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগরে ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন দখল চেষ্টা বন্ধ করেন। জানা গেছে, পাইকগাছা থানার সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু চত্বরের মধ্যে ভলিবল খেলার মাঠ নিজের দাবি করে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু দখল নিচ্ছিলেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সচেতন মহল ও খেলোয়াড়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক পাইকগাছা থানার ওসি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরাফাত হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, থানার ওসি মোঃ জিয়াউর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। বঙ্গবন্ধু চত্বরের ভলিবল খেলার জায়গা দখলের ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু বলেন, ‘এ জমি আমি নিলাম সূত্রে ক্রয় করেছি। জমির সকল কাগজপত্র আমার আছে’। জমির মালিক হওয়া সত্বেও সরকারি ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে মাটি ভরাট করে বঙ্গবন্ধু চত্বর তৈরি করার সময় কাজে বাঁধা না দিয়ে এখন জমি দখলে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তখন প্রয়োজন মনে করিনি, এখন পাশের ব্যক্তি জমি দখলে নিয়েছে তাই প্রয়োজন মনে করে আমিও জমি দখলে নিচ্ছি’। এ ঘটনায় ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার দাবিকৃত জমির কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরাফাত হোসেনের কাছে কাগজপত্র দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। জমির কাগজপত্র যাচাই বাছাই না হওয়া পর্যন্ত ১ সপ্তাহের জন্য উক্ত জমিতে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্যেও বলা হয়েছে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধ শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু থানা পুলিশ ও এলাকার ভলিবল খেলোয়াড়দের কথা বিবেচনা করে জমির কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে সকলে সাধুবাদ জানালেও নদীর সীমানা ও জমির সঠিক মালিকানা বের করার জন্য কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। 8,571,134 total views, 9,839 views today |
|
|
|