জানুয়ারি ১১, ২০২৩
পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই শিশু বিশেষজ্ঞ: ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। উপজেলা শহরে শিশু বিশেষজ্ঞ ছাড়াই চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ফলে হাসপাতালে মিলছে না সু-চিকিৎসা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র অসহায় মানুষেরা সু-চিকিৎসা না পাওয়ায় শিশুদের রোগব্যাধি নিয়ে বিপাকে পড়ছেন। জানা গেছে, অতিরিক্ত শীতের কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। উপজেলা শহর থেকে জেলা শহরের দূরত্ব প্রায়-৬৫ কিলোমিটার হওয়ায় যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। সাধারণ মানুষের দাবি, জেলা শহরগুলোতে চিকিৎসা সেবা নেওয়া ব্যাপক ব্যয়বহুল। এজন্য সরকারি হাসপাতালই তাদের একমাত্র ভরসা। পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যা প্রকট হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। খুলনা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পাইকগাছা উপজেলায় জ্বর, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারেও বেড়েছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও। এদিকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুদের অধিকাংশের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মেডিকেল অফিসাররা ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় স্বাস্থ্য-কর্মী দিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা। পাইকগাছা সীমানা ঘেঁষা আশাশুনির বড়দল গ্রামের নিহার রঞ্জন মন্ডলের শিশু পুত্র রিদ্দিমান (৩) ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি রয়েছে। রিদ্দিমানের বাবা নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, এখানে মোটামুটি চিকিৎসা পাচ্ছি। কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলে আরও ভাল চিকিৎসা সেবা পেতাম। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে ২৬ জন এর ভেতরে ১৫ জনের ডায়রিয়া, ৭ জন শ্বাসকষ্ট ৪ জন অন্যান্য রোগে আক্রান্ত। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভর্তি রয়েছে ১২ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন, পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে শিশু কনসালটেন্ট পদ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় মেডিকেল অফিসার দিয়ে শিশুদের চিকিৎসা প্রদান করেন। সমস্যা জটিল হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। 8,575,617 total views, 3,387 views today |
|
|
|