জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
নদীতে অতিমাত্রায় বর্জ্য ফেলা রোধে সীমিত করা হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণ
জি এম মাছুম বিল্লাহ, সুন্দরবনাঞ্চল প্রতিনিধি : অনিময়তান্ত্রিকভাবে নদীতে অতিমাত্রায় বর্জ্য ফেলার কারণে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে অনির্দিষ্টকালের সীমিত করা হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণ। আপাতত পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যšত্ম সুন্দরবনের কলাগাছিয়া দোবেকিসহ অন্যান্য জায়গায় একদিনের ভ্রমণে যেতে পারবে না পর্যটকবাহী বোর্ডগুলো। তবে যথারীতি বিভাগীয় অফিস থেকে অনুমতি নেওয়া পর্যটকবাহী বোর্ড অথবা ট্রলার সুন্দরবনে প্রবেশে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ নুরুল আলম জানান, ‘অধিকাংশ বোড মাঝিরা অত্যšত্ম সুচতুরভাবে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন। ফলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এছাড়া প্রত্যেকটি বোর্ডে ডাস্টবিন রাখার কথা বললে তা রাখা হচ্ছে না। যত্রতত্র নদীতে ময়লা আবর্জনা, খাবারের প্যাকেটসহ নানাবিধ বর্জ্য ফেলে নদী দূষণ করা হচ্ছে। এজন্য নদী দূষণ রোধে মৌখিকভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে ছোট পরিসরে সুন্দরবন ভ্রমণ’। অন্যদিকে ট্রলার মালিকরা বলছেন, সরকারি সকল নিয়ম মেনেই পর্যটকদের ঘোরানো হয়। তবে কিছু কিছু পর্যটক একদিন বা তার চেয়ে কম সময়ে ঘুরতে চাইলে লোকালয়ের পাশ দিয়ে বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষেই ঘোরানো হয়। নদী দূষণের ব্যাপারে তারা জানান, আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা করি যাতে পর্যটকরা নদীতে কিছু না ফেলে। পর্যটকরা যেটা নদীতে ফেলে সেটা খুবই সামান্য পরিমাণ। আমাদের লোকালয়ে অধিকাংশ বাড়ির বর্জ্য সুন্দরবনের নদীতে ফেলা হয়। যার কারণে নদী অতিমাত্রায় দূষিত হচ্ছে। তবে হঠাৎ এমন বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন ট্রলার মালিকসহ পর্যটকরা। শীতের শুরু থেকে প্রচুর পরিমাণ পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করে। সচেতন মহল বলছেন, চলতি বছর পদ্মা সেতু নির্মাণের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছিলেন দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ। এবছর সাতক্ষীরার পর্যটন শিল্প তথা সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আকস্মিক বন্ধে কিছুটা হলেও মুখ থুবড়ে পড়বে এই শিল্প। তবে নদী রক্ষায় বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কর্মকর্তা এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী জানান, ‘নদীতে অতি মাত্রায় বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এজন্য সুন্দরবন ভ্রমণে শৃঙ্খলা ফেরাতে বোর্ড মালিকদের সচেতন করতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বোর্ড মালিকরা যদি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য সংরক্ষণ করে তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে’। তিনি আরো জানান, ‘অনেক বোড আছে যারা কর ফাঁকি দিয়ে পর্যটক নিয়ে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে নদীতে বিচরণ করছেন। আমরা সব কিছুই নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি’। 8,559,472 total views, 10,078 views today |
|
|
|