নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার সকাল ১০টায় আশাশুনি উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা।
তিনি বলেন- উপজেলায় ১৭, ৩৯৭ হেক্টর জমিতে ১৬৩৬০ টি বাগদা ঘেরে ১২,৭৪৮ চাষী ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৫,৬২০মে.টন, ৮১২ হেক্টর জমিতে ৮১৯ টি গলদা ঘেরে ৬৬৯ চাষী ৫৬৬ মে.টন, ৩৩২০ হেক্টর জমিতে ১০,০১০ টি পুকুরে ৭০০৭ জন সাদা মাছ চাষী ৫,৪৪৬ মে.টন সাদা মাছ সহ ৫০ জন কুঁচিয়া চাষী কুঁচিয়া চাষ করে চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন করেছেন। উপজেলায় ৫টি বরফ কল, ২৩ টি মৎস্য ডিপো, ৩ জন খাদ্য বিক্রেতা, খাদ্য আমদানিকারক ১ জন, ১টি হ্যাচারী, ৩৪টি নার্সারী ও ১টি আধা নিবিড় ঘের (যেটা আপাতত বন্ধ) রয়েছে।
২০২১-২২ অর্থ বছরে আশাশুনির বিভিন্ন জলাশয়ে রাজস্ব বাজেটের আওতায় ০.৫০৪ মে.টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। উপজেলার মোট ৫০০ মৎস্যজীবি ও মৎস্যচাষীকে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। মৎস্য দপ্তর থেকে ৪০০ জন নতুন পুরানো মৎস্যচাষী-মৎস্যজীবি ও উদ্যোক্তার খামার পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদার করা হয়েছে। তাছাড়া ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প’ এর আওতায় বিভিন্ন জলাশয়ে ১ হেক্টর প্রদর্শনী পুকুর স্থাপন করে তাদের কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ ও নদীতে নীলনেট ব্যবহার করে রেনু পোনা আহরণ ঠেকাতে ভ্রাম্য আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
উপজেলার ৬৭৬২ জেলেদের আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের মাথা প্রতি ৮৬ কেজি চাউল প্রদান করা হবে। যার মধ্যে ১১৮৪ জন সমুদ্রগামী জেলেকে ৫৬ কেজি হারে চাউল ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এরপর থেকে প্রতি বছর ৪৫৫০ জন জেলেকে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় চাউল বিতরণ করা হবে।
২৩ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলমান জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করেছে উপজেলা প্রশাসন। সিনি. উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের শুভ সূচনা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আশাশুনি প্রেসক্লাব ও আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।