এপ্রিল ২১, ২০২২
বড়দলে ১২০ টাকায় যমজ দুই বোনের পুলিশের চাকরি এলাকায় খুশির বন্যা
এস এম শরীফ (বড়দল) আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফাকরাবাদ গ্রামে বসবাসরত মোঃ আছাদুল ফকির ও রেহেনা খাতুন দম্পতির যমজ দুই কন্যা ফারজানা জাহান ও ফারহানা জাহান সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের আয়োজনে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২২ এর সাতক্ষীরা জেলা হতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে। অত্যন্ত অসচ্ছল ও গরিব পরিবারের সদস্য থেকে ঘুস ও তদবির ছাড়াই পুলিশের চাকরি হওয়ায় এলাকায় চলছে খুশির মাতম। বড়দল ইউনিয়নের যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কৃষক লীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম ফকির বলেন ২০১৩ সালে দেশে যখন রাজনৈতিক অরাজকতা চলছিল তখন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য চরমভাবে আঘাত করে আমাকে পঙ্গু করে দেয়। পরবর্তীতে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নগদ দুই লক্ষ টাকা আর্থিকভাবে সাহায্য করে। ঐ টাকা পেয়ে স্থানীয় হসপাতালসহ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি বেকার। আমার স্ত্রী দর্জি কাজসহ হাতের কাজ জানে। তাহার আয়ে এবং সরকারি বিভিন্ন সাহায্য পেয়ে মেয়ে তিনটিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করে চলেছি। আমার মেয়েরা টিউশনি করে পরিবারে সাহায্য করে । আমার বড় মেয়ে আফসানা আঁখি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ গণিত বিষয়ে অনার্সে অধ্যয়নরত। আমার পরিবারের এই দুঃসময়ে আমার যমজ ছোট দুই মেয়ের পুলিশের চাকরি হওয়ায় আমি ও আমার পরিবার সহ এলাকার মানুষ খুবই খুশি হয়েছে। তারা যমজ দুই বোন বর্তমানে আশাশুনি মহিলা কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি আরো বলেন আমার দুই মেয়ে পুলিশে চাকুরিতে যাহাতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেতে পারে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি। সেইসাথে সাতক্ষীরা জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আমার দুঃসময়ে শেখ হাসিনার সরকার ও সাতক্ষীরা ৩ আসনের এমপি স্যারসহ আমার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের অবদানের কথা স্মরণ করছি। তারা যদি আমাকে সাহায্য সহযোগিতা না করতো তাহলে হয়তো আমার এই পরিবারে অন্ধকার নেমে আসত। আগামী ২৫ এপ্রিল সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল, সাতক্ষীরা তারা প্রাথমিকভাবে মেডিকেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। 8,618,074 total views, 9,731 views today |
|
|
|