অক্টোবর ৩১, ২০২১
খাজরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কর্তৃক বর্তমান চেয়ারমানকে রাজাকার পুত্র বলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কর্তৃক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার এবং চেয়ারমান ডালিমকে রাজাকার পুত্র বলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, খাজরা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবাদুল মোল্যা। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৮নং খাজরা ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারমান সাবেক আশাশুনি উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এস.এম শাহনেওয়াজ ডালিমের পিতা মৃত মোজাহার সরদার একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। শাহনেওয়াজ ডালিমের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ২০১১ ও ২০১৬ সালের দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে পরাজিত হন ও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এরপর তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ১৯৭১ সালের বহু পূর্বে চোর নওসের খ্যাত বাক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা সন্তান পরিচয় দিয়ে নওসেরের পুত্র নাজিমুদ্দীনকে বাদী করে ১৫১/২০০৯ একটি সি আর মামলা দায়ের করেন। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদে এবং নওসেরের দুই পুত্র মামলাটি মিথা, বানোয়াট, ব্যক্তি স্বার্থ হাছিল ও ভিত্তিহীন বলে এফিডেভিট করে দিলে মামলাটি মিথা প্রমানিত হয়ে খারিজ হয়। এ ঘটনায় ৯ মার্চ ২০২১ তারিখে উক্ত বিষয়ে এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা এবং চেয়ারম্যান ডালিম উক্ত মোজাহার সরদার রাজাকার ছিলেন না মর্মে তদন্ত চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে একটি আবেদন করেন। আবেদনটি গৃহীত হয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরিত হলে জেলা প্রশাসক আবেদনটি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করলে নির্বাহী কর্মকর্তা ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। খাজরা ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের লিখিত বক্তব্যের পর উক্ত কমিটির সিদ্ধান্ত হয় যে মোজাহার সরদার রাজাকার ছিলেন না বা তিনি যুদ্ধাপরাধীও ছিলেন না এবং তিনি নওসের হত্যা সাথে জড়িত ছিলেন না মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মুক্তিযোদ্ধা এবাদুল মোল্যা বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র বিএনপির খোলস পাল্টানো খুলনার স্থায়ী বাসিন্দা বিএনপি জামায়াতের মদদপুষ্ট অহিদুল ইসলামের আগমন ঘটিয়েছে খাজরার প্রাক্তন চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতারা। এই অহিদুলের উপজেলা আওয়ামীলীগে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোন বৈধ সদস্যপদ নাই। বিএনপি নেতা অহিদুল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কিছু আওয়ামী লীগের নেতাদের ম্যানেজ করে নৌকা প্রতীকের মনোননয়ন নেওয়ার জন্যদৌড়-ঝাপ করে বেড়াচ্ছেন। এমনকি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাসহ একাধিক সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ এলাকার সর্বসাধারণের পক্ষে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় স্বাধীনতাবিরোধী অনুপ্রবেশকারী অহিদুল যাতে দলীয় ভাবে সহযোগীতা না পায় সেজন্য জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিএসবি এর কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবী জানিয়েছে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)। 8,645,304 total views, 1,656 views today |
|
|
|