অক্টোবর ১১, ২০২১
অপার সম্ভাবনার হাত ছানি কালিগঞ্জের বাঁশঝাড়িয়া মিনিসুন্দরবন
শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ: পর্যটন শিল্পে অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। ধীর গতিতে হলেও এই শিল্পের উন্নয়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যুগে যুগে পর্যটকদের মুগ্ধ করেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মাধ্যমে নিজের মন প্রাণ আর আত্মাটাকে সতেজ করা ও সঙ্গীদের সময় দেয়া দুটোই চলে একসাথে। বর্তমান বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ১শ’ কোটির বেশি। আর বিপুলসংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৫ শতাংশ ভ্রমণ করেন এশিয়ার দেশগুলোতে।
২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কমপেটেটিভনেস রিপোর্ট-এ বাংলাদেশের অবস্থান ১২০তম বলা হয়েছে। যা ২০১৭ সালে ছিলো ১২৫তম।
বাংলাদেশে ছোট-বড় প্রায় ৮শ’র বেশি পর্যটন স্থান রয়েছে। এসব স্থানকে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পর্যটনের সাথে যুক্ত করা গেলে তা এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে। ৮৩ একর জমিতে সৃষ্টি হওয়া এ বনে গেওয়া, কেওড়া, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ প্রেমীরা এখানে আসে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। সন্ধ্যার দিকে সাদা বক, পানকৌড়ি দলবেঁধে তাদের নিরাপদ আশ্রয় মিনি-সুন্দরবনে ফিরতে থাকে। চারিদিকে ডানা ঝাপটানো উড়া-উড়ির সঙ্গে পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে এ অঞ্চল।
এই বন দেখলে অনেকটা মূল সুন্দরবনেরই অনুভূতি পাওয়া যায়। মিনি এ বনটি দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। এছাড়া পরিবেশের জন্য এটি একটি আর্শিবাদ স্বরুপ। এটা সংরক্ষণ করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার বলে মনে করেন বনপ্রেমীসহ স্থানীয়রা।
তিনি আরও বলেন, এখানে না আসলে বোঝা যাবে না যে, কতটা সুন্দর এ বন। সন্ধ্যার দিকে সাদা বক আর পানকৌড়িতে আকাশ ঢেকে যায়। কালিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানের দর্শনার্থী এ মনোরম দৃশ্য দেখতে ছুটে আসে এখানে। বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য ও কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাহিত্যিক গাজী আজিজুর রহমান বলেন, কালিগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। নানান দিক দিয়ে কালিগঞ্জের অনেক সুনাম রয়েছে। এই সুনামের মূলে খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ’র বিশাল প্রভাব, রাজা প্রতাপাদিত্য’র উঁচু উঁচু গড়, এখানে আছে নবরতœ মন্দির, বসন্তরায়ের স্মৃতি, সব চাইতে বড় সম্পদ কাঁকশিয়ালী নদী। সবমিলিয়ে রয়েছে ব্যাপক ঐতিহ্য। তবে দুঃখের বিষয় সেই ঐতিহ্যকে আমরা ধরে রাখতে পারিনি। তবে নতুনভাবে সৃষ্টি ঐতিহ্য গুলোকে আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং ধরে রাখা উচিত। সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় ও স্থানীয় সবাইকে নিয়ে এই উপজেলাকে আরও উন্নত, আরও আকর্ষণীয় করার জন্য কিছু নিদর্শন আমরা সৃষ্টি করে যাবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন, কালিগঞ্জের বাঁশঝাড়িয়ায় যে একটি মিনিসুন্দরবন আছে সেটি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে প্রথম শুনলাম। আমার বক্তব্য দেওয়ার দরকার নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পর্যটন নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলার বিভিন্ন খাল খনন ও বসন্তপুর পার্কের কাজ চলমান। 8,631,907 total views, 11,457 views today |
|
|
|