সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
কালিগঞ্জে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে কলেজ ছাত্রীর ৪৬ হাজার টাকা
নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে ফাঁদে ফেলে এক কলেজ ছাত্রীর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৪৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের দুলাবালা গ্রামের প্রদীপ মারি’র মেয়ে ও রাজবাড়ি কাটুনিয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী উর্মিলা মারি জানান, মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে কলেজে আসার পর যশোর মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে ০১৮২২-২৩৪২৪৬ এবং ০১৮৬৫-৯৩২৭৫৪ এই দু’টি মোবাইল নাম্বার হতে আমাকে ফোন করে প্রথমে আমার নাম, বাবার নাম, কলেজের নাম এবং আগের ১০ হাজার টাকা পাওয়ায় বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বলে তুমি আবারও একটি মোটা অংকের টাকা পেতে যাচ্ছো।
আমি সেটা সরল মনে বিশ্বাস করি। পরে আমার ব্যবহৃত বিকাশ নাম্বার সম্বলিত নাম্বারের টাকা ট্রানজাকশন এর জন্য পিন নাম্বার চায়। আমি সরল বিশ্বাসে টাকা পাওয়ার আশায় পিন নাম্বার দিয়ে দেই। পরে তারা আবারও কাউকে না জানিয়ে ৬ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। সেই মোতাবেক আমি ওই নাম্বারে ৬ হাজার টাকা বিকাশ করি। পরে তারা ০১৭৪০-৫৭৭৮৯৯ এই বিকাশ নাম্বারে আরও ১৬ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। আমি সাথে সাথে বিকাশের দোকান হতে আরও ১৬ হাজার টাকাসহ মোট ৪৬ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিই। তখন আমার বিষয়টি সন্দেহ হলে আমি সাথে সাথে কলেজের প্রিন্সিপাল স্যার আব্দুল ওহাবকে বিষয়টি খুলে বলি। তিনি তাৎক্ষণিক কালিগঞ্জ থানাকে অবহিত করে। খবর পেয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কলেজে পৌঁছালে প্রতারক চক্র আবারও ফোন করে আমার নিকট আরও ১৬ হাজার টাকা দাবি করে। ওই সময় ফোনটি পুলিশ পরিদর্শক স্যারের নিকট দিলে তিনি প্রতারক চক্রের সাথে কথা বললে চক্রটি বুঝে ফেলে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। আমি এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি । পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। 8,633,833 total views, 13,383 views today |
|
|
|