ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় রুহুল কবির রিজভীর গাড়ী
রাকিবুল ইসলাম : কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যশোর বিমান বন্দরে ফেরার পথে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) কলারোয়া বাজার এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিব তার সাথে ওই প্রাইভেটকারে ছিলেন। তবে দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা অক্ষত আছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এর আগে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে শেষ সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে মামলায় ন্যায় বিচার পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীরের আদালতে তিনি সাফাই সাক্ষ্য দেন। এছাড়া আগামী ০৬ জানুয়ারি আলোচিত এই মামলার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা আদালত সূত্র। রুহুল কবির রিজভী সাফাই সাক্ষ্য শেষে সাংবাদিকদের জানান, আমরা আশা করছি ন্যায় বিচার পাব। ঘটনার দিন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকাতে ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, বৃহস্পতিবার রুহুল কবির রিজভীর সাফাই সাক্ষ্য প্রদান ও জেরা করার মাধ্যমে শেষ হলো সকল সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালীন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম। সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামি পক্ষের আপিল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চতর আদালত। এরপর রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। 8,417,101 total views, 874 views today |
|
|
|