নভেম্বর ৮, ২০২০
খাজরায় সমন্বিত সবজি চাষে কৃষকদের মুখে হাসি
খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরায় ধান ও মাছ চাষের সাথে সমন্বিত সবজি চাষে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাছের ঘের এবং পুকুর পাড়ে সবজির চাষ শুরু করে সেখানেও এসেছে সাফল্য। রবিবার (০৮ নভেম্বর) ইউনিয়নের খালিয়া, ফটিকখালী, পিরোজপুর, তুয়ারডাঙ্গা ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক ছোট-বড় মৎস্য খামারে মাছ, ধান চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা মাছের ঘেরের আইলে, পাশের ক্যানালে জালের মাচান তৈরি করে লাউ, সীম, ধুন্দল, আগাম জাতের টমেটো, ওলকপি, বাঁধাকপি, ঢেড়স, বেগুন প্রভৃতি জাতের শীতকালীন ও মৌসুমী সবজির চাষাবাদ করছেন। তবে ইউনিয়নের অধিকাংশ মৎস্য ঘের লবণ পানি থাকায় অনেক কৃষক সবজি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এসব খামারে উৎপাদিত সবজি স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলায় বিক্রি হচ্ছে। খালিয়া গ্রামের বর্গাচাষি মনিরুল ইসলাম জানান, করোনাকালীন সময়ে বাইরে কাজ করতে না পেরে আমার সংসার চালানো কষ্টকর হয়েছিল। তখন পাশের ৩ একর জমি বর্গা নিয়ে সবজি চাষ শুরু করি। ২০ হাজার টাকা খরচ করে বীজ, মাচান তৈরি, ও কীটনাশক ব্যবহার করে সবজি চাষ শুরু করি। কেনা-বেচা করে ৪০হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এছাড়া ফটিকখালী গ্রামের প্রান্তিক চাষি বিল্লাল হোসেন জানান, আমার নিজস্ব মৎস্য ঘেরে ধান ও মাছ চাষের পাশাপাশি এ বছর সবজি চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফসল ভাল হয়েছে। মাছের পাশাপাশি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা অতিরিক্ত কেনা-বেচা হয়েছে। সবজি চাষে লাভ হওয়ায় অনেকে ঝুঁকছে এ পেশায়। এদিকে একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত কৃষিখাতে ও কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যে সরকারি প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে তা গ্রামের অধিকাংশ কৃষকই জানে না। বিষয়টি আরও প্রচার করে সরকারি সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে উপজেলা কৃষি অফিসার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় চাষিরা। এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, আমরা কৃষকদের পাশে মাঠ পর্যায়ে সব সময় আছি। প্রান্তিক কৃষকদের সবজি বাগান পরিদর্শন করে তাদের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। 8,412,742 total views, 895 views today |
|
|
|