অক্টোবর ১৩, ২০২০
বরখাস্ত হতে পারেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু!
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরখাস্ত হতে পারেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। কলারোয়ায় জাতীয় শোক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত, উপজেলা পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে এ সংক্রান্ত কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। পত্র প্রাপ্তির সাত কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করে ব্যক্তিগত শুনানিতে ইচ্ছুক কিনা তা জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (উপজেলা শাখা-০১) গত ১১ অক্টোবর তারিখে ৪৬.০০.০০০০.০৪৬.১৭৯.০৭০.২০১৪.৭৯৪ নং স্মারকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে তাকে এ কারণ দর্শানো পত্র দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আমিনুল ইসলাম লাল্টু। তিনি শপথ গ্রহণের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস ও সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ ব্যাহত করছেন। এমন সব অভিযোগের ফিরিস্থি তুলে ধরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদাসহ ১১ জন ইউপি চেয়ারম্যান ১৩-১০-২০১৯ প্রধান মন্ত্রী বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ১ নং কলামে বলা হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর শাহাদাৎ দিবস পালনের অংশ হিসাবে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোক দিবস অনুষ্ঠানে জামায়াত-বিএনপির সহিত নির্বাচনি অঙ্গীকারের কারণে অংশগ্রহণে বিরত ছিলেন। ২ নং কলামে উল্লেখ করা হয় কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একজন ফেন্সিডিল আসক্ত ব্যক্তি। তিনি ফেন্সিডিল সেবন ও পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তাদের সাথে অসদাচরণ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের রক্ত পরীক্ষার দাবিও জানানো হয়। ৭ নং কলামে বলা হয়েছে. ২০১৩ সালে জামায়াত শিবির ও বিএনপির যে ক্যাডাররা আ.লীগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ যে চার জনকে হত্যা করেছিল উপজেলা চেয়ারম্যান তাদেরকে সাথে নিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছেন। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ভাঙচুরেরও অভিযোগ আনা হয়। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) খুলনা অভিযোগটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তদন্তের প্রতিবেদনের সাথে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারও একমত পোষণ করেন। কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যানকে পাঠানো কারণ দর্শানো নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে যেহেতু, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ [উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৯ দ্বারা সংশোধিত] এর ১৩ (১) (গ) ও (ঘ) ধারার অপরাধের শামিল; যেহেতু উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ [ উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত ] এর ১৩ (২) ধারায় কার্যক্রম গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে; পত্র প্রাপ্তির সাত কর্ম দিবসের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু যদি নির্দেশ অমান্য করে জবাব দাখিল না করেন সে ক্ষেত্রে তিনি সাময়িক বা স্থানীয় ভবে বরখাস্ত হতে পারেন। অন্যভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের দাখিলকৃত জবাবে স্থানীয় সরকার যদি সন্তোষজনক মনে করেন তবে এ যাত্রায় তিনি পার পেয়ে যাবেন বলে অনেকেই মনে করছেন। 8,622,370 total views, 1,922 views today |
|
|
|