সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
হাট বাজারে চাল পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
কাদের মহিউদ্দীন : দেবহাটার বাজার গুলোতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। একদিকে করোনার প্রভাবে সাধারণ মানুষ আছে আর্থিক সংকটে অপর দিকে প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে খেটে খাওয়া দিন মজুরদের। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেবহাটার বাজার ঘুরে জানা গেছে, আঠাশ চাউল কয়েকদিন আগে বস্তা প্রতি ২ হাজার ২শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার সেই চাউল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪শ’ ৫০ টাকায়। মিনিকেট কয়েকদিন আগে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩শ’ টাকায়, বর্তমানে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। এছাড়া সাধারণ মোটা চাউলের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজের বাজার ঘুরে জানা গেছে, ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বর্তমানে ৮০টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তেল লিটার প্রতি ৮৫ টাকা থেকে ১০০ টাকায় উঠেছে, ডাউল ৬০ টাকা ৮০টাকায়, ডিম প্রতি হালি ২৮টাকা থেকে ৩২টাকা এবং মসল্লার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনিভাবে কাঁচা বাজারেও সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বেগুন ৩৫টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রতি কেজি ৫০টাকা, কলা ৪০টাকা থেকে ৫০টাকা। এছাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যান্য সবজির দাম। হঠাৎ করে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজার করতে এসে বাজেট মিলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। অনেক খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ বাজারে এসে খালি প্যাকেট হাতে বাড়ি ফিরতেও দেখা গেছে। এ বিষয়ে ক্রেতা আব্দুল রকিব বলেন, এভাবে যদি দ্রব্যমূল্য এমনি ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাহিরে চলে যাবে এবং জীবনযাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সখিপুরে সবজি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ কম থাকায় বাজারে হঠাৎ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে ধারণা করছি। এমন পরিস্থিতে সাধারণ মানুষ আশা করে বাজারগুলি যদি মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত দাম বাড়াতে পারবে না অসাধু ব্যবসায়ীরা। 8,955,914 total views, 11,664 views today |
|
|
|