জয়নগর (কলারোয়া) প্রতিনিধি : জয়নগর ইউনিয়নে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট চলছে। ইরি- বোরো মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কলারোয়া উপজেলার জয়নগরে বেশিরভাগ বিলে পানি জমে বিচালি পচে যাওয়ায় সংকট সৃষ্টির প্রধন কারন। গো-খাদ্যের মধ্যে অন্যতম খড়। স্থানীয় ভাষায় খড়কে পল বা বিচালি বলা হয়ে থাকে। গবাদি পশুর খাদ্যের এই সংকট দেখা দেয়ায় বিচালির দাম বেড়েছে প্রায় ২ থেকে ৩ গুণ। এছাড়া করোনার প্রভাবে কুরবানি ঈদে লোকসানে গরু বিক্রি না করে লাভের আশায় গরু পালন করে খামারিরা পড়েছে আরও বিপাকে। বেশিরভাগ গরু খামারিরা বলছেন, ঈদে কম দামে গরু বিক্রি না করে লাভের আশায় ধরে রেখে এখন পড়েছি আরও বিপদে। না পারছি গরু বিক্রি করতে না পারছি গরুর খাবার কিনতে। স্থানীয় গরু খামারিরা বলছেন, ‘ইরি মৌসুমে প্রতি কাহন প্রতি বিচালির মূল্য থাকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। কিন্তু এবছর বিচালি সংকট দেখা দেওয়ায় সুযোগ সন্ধানী বিচালি ব্যবসায়ীরা বর্তমানে সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় বিচালি বিক্রি করছেন।
জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন জানান, ‘কোরবানির ঈদে গরুর দাম কম থাকায় গরু বিক্রি করতে না পারায় বিচালি সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে চড়া দামে বিচালি কিনতে হচ্ছে তাও সমিতির কিস্তি টাকা দিয়ে। এ বছর সব ধরনের গো খাদ্য চড়া দামে কিনতে হয়েছে। বিচালি, ভুসি, কুড়া, ফিড, সব ধরনের গো খাদ্যের বেশি দাম থাকায় গরুতে লাভবান হতে পারব না উল্টে দেনার দায় চাপবে ঘাড়ে’।
জয়নগরের প্রভাস হাজরা জানান, ‘সমিতির কিস্তি নিয়ে গরু কিনেছিলাম। কোরবানির ঈদে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হাট থেকে গরু ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হই। মজুত বিচালি যা ছিল তা এখন শেষ হয়ে গেছে। বিচালির দামও বেশি হওয়ায় এখন বিচালি কিনতে পারছি না। তাছাড়া মাঠে ঘাটে পানি থাকায় গরু মাঠে নিয়ে ঘাস পাতাও খাওয়াতে পারছি না। এখন হয় লোকসানে গরু বেচতে হবে না হয় দেনার দায় বাড়ি ছাড়তে হবে’। ইউনিয়নের অধিকাংশ গরু ব্যবসায়ীরা গরুর ন্যায্য মূল্য ও গো খাদ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জয়নগরে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, বিপাকে গরুর মালিকরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/