জুলাই ৬, ২০২০
করোনার মধ্যেও থেমে নেই পারুলিয়া মৎস্য ডিপোতে চিংড়ি পুশ
মীর খায়রুল আলম : সারা বিশ্ব ব্যাপী করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে মানুষের জীবন যাত্রা। আর এর প্রভাবে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে দিচ্ছে জীবন যাত্রার মান। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে গতিপথ হারিয়েছে দেশের অন্য তম অর্থকারী চিংড়ি শিল্প। এতে একদিকে যেমন পোনা রেণু সংকট, অন্য দিকে উৎপাদিত মাছের দাম না পাওয়ায় চরম সংকটে এ শিল্প। দেশের রপ্তানিকৃত চিংড়ির অধিকাংশ উৎপাদিত হয় দক্ষিণ অঞ্চলে। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ চিংড়ি চাষি ও ব্যবসায়ীদের। তবে সংকট পূর্ণ পরিবেশে থেমে নেই পারুলিয়া মৎস্য ডিপোতে বাগদা চিংড়ি পুশ। বহির্বিশ্বে সাদা-সোনা নামে পরিচিত এই চিংড়িতে অপ দ্রব্য পুশে মারাত্মক ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে এই শিল্প। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় সাদা সোনা নামে পরিচিত বাগদা চিংড়িতে পুশ করছে অপ দ্রব্য জেলি, সাগু, চিড়ির কদ ও ফিটকার পানি। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর বলছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। একদিকে অস্বাস্থ্যকর বাজারজাত অপর দিকে বিশ্ব বাজারে মূল্য হ্রাস। যে কারণে দক্ষিণ বঙ্গের চিংড়ির সাথে জড়িতরা পথে বসতে চলেছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, স্থানীয় চাষিরা মৎস্য শেডে বিক্রি করার পর মাছগুলো কিনে নেন ডিপোর ব্যবসায়ীরা। এরপর দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর সেগুলো পুশের জন্য গোপন কক্ষে নিয়ে যেয়ে অপ দ্রব্য মেশানো হয়। এমন গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকালে কয়েকটি চিংড়ি প্রসেসিং কক্ষে দেখা মেলে পুশিং কার্যক্রম। কথা বলতে গেলে এসব ব্যবসায়ীরা নানা ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টার পাশাপাশি প্রভাব দেখানোর চেষ্টা চালায়। তবে পারুলিয়া মৎস্য শেডের মেসার্স রিচি ফিস্ এর পরিচালক আবু সাঈদ জানিয়েছেন, পুশ না করলে আমাদের লোকসান হয়। তাছাড়া পারুলিয়ায় প্রতিটি মাছ ঘরে পুশ চলছে। সবাই পুশ করেন। এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে নজরদারি কম থাকায় এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করতে পারে। তবে তথ্য পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন জানান, চিংড়িতে অপ দ্রব্য ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পর্ব(১) 8,960,940 total views, 16,690 views today |
|
|
|