জুন ৬, ২০২০
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সাতক্ষীরাকে বাঁচাতে এমপি রবির কর্ম ব্যস্ততা
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে যখন বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা লকডাউন, মানবিকতা, সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার বিপর্যয়ে পথ হারিয়ে অমানবিকতা দেখা দিয়েছে। ঠিক সেই মুহ‚র্তে করোনার ভয়কে তুচ্ছ করে জীবনের মায়া ত্যাগ করে সকল বাঁধা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার আপামর জনগণের পাশে দাঁড়াতে জনগণের কল্যাণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঢাকা থেকে ছুটে এলেন সাতক্ষীরায়। করোনা থেকে সাতক্ষীরার মানুষদের রক্ষা করতে জনসচেতনতার জন্য সদরের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মাইকিং, সতর্কীকরণ লিফলেট, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দৃঢ় ভূমিকায় সাতক্ষীরায় করোনার সংক্রমণ রোধ করা অনেকটা সম্ভব হয়েছে। আমরা সকলেই জানি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজের জীবন বাজী রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আবার ২০২০ সালে মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের প্রতি ভালবাসা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহŸানে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে করোনার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও মহামারি করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ সাতক্ষীরাবাসীর প্রাণ প্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হলে মানুষ যখন হয়ে পড়ে কর্মহীন ও দিশাহীন। কালবিলম্ব না করে সাতক্ষীরার মানুষের প্রতি তার দায়িত্ববোধ থেকে সব বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে লকডাউনের মধ্যে সড়ক পথে ঢাকা থেকে সেদিন সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন এমপি রবি। পথিমধ্যে মাওয়া ঘাটে ফেরি বন্ধ থাকায় স্পিড বোডে পদ্মা নদী পার হয়ে কয়েকটি জেলার লকডাউন চেক পোস্ট পেরিয়ে অনেক পরিশ্রম ও ধকল সহে তিনি পৌঁছান সাতক্ষীরায়। ঢাকা থেকে আসার পথে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের তত্ত¡াবধায়কের মাধ্যমে জানতে পারলেন যে মেডিকেল কলেজের যে কয়টি ভেন্টিলেশন মেশিন আছে সেগুলো চালু করতে হলে অক্সিজেনের প্রয়োজন। কিন্তু অক্সিজেনের কোন ব্যবস্থা মেডিকেল কলেজে নেই। তিনি জানার পর ঢাকাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে দ্রæত যোগাযোগ করেন এবং অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ৫ দিনের মধ্যে মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের সরবরাহের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। ফলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজটি আইসিইউ ও ভেন্টিলেশনসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তুত। সকলে যখন সামাজিক দূরত্ব বজায় হিমশিম খাচ্ছে তখন এমপি রবি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছাতা বিতরণ করেছেন। মানুষ ছাতা ব্যবহার করলে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষাসহ সেই সাথে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা যাবে। তার এ উদ্যোগ সাতক্ষীরা তথা দেশবাসী অনুকরণ করেছে। এমপি রবি সাতক্ষীরায় আসার পর লক্ষ করেন যে, বাংলাদেশের অন্যতম স্থলবন্দরটি লকডাউনের জন্য বন্ধ থাকায় বন্দরের দুই থেকে আড়াই হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় তিনি জেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে ২০ টন চাউল বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। যা তিনি নিজে ও জেলা প্রশাসক ভোমরা বন্দরে গিয়ে বিলি বণ্টন করেন। বেসরকারি, অবসরপ্রাপ্ত ও গ্রাম্য ডাক্তারদের স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসা দিতে উৎসাহ প্রদানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিনি পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গেøাবসসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। যাতে তারা উৎসাহী, উদ্যোগী ও নির্ভয়ে সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারেন। এছাড়াও বাস শ্রমিক, ট্রাক শ্রমিক, ইজিবাইক চালক ও ভ্যান চালকসহ বিভিন্ন শ্রমিকদের মাঝে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় বিশেষ সহায়তা প্রদান করেন। সকল মানুষকে নিজ ঘরে থাকতে এবং সাতক্ষীরা জেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে আজ অবধি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি সহায়তা আসার আগেই এমপি রবি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। সাতক্ষীরার অসহায় মানুষদের সেবা দিতে অতিরিক্ত ত্রাণ বরাদ্দের জন্য বারবার মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে অতিরিক্ত বরাদ্দ মঞ্জুর করেছেন। বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও মুজিবকন্যা মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শের আদর্শিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপির প্রচেষ্টায় দলীয় নেতা কর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস’র বিস্তার ও সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এমপি রবি একজন সাদা মনের মানুষ, পরোপকারী, যিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। যিনি ভালোবাসা ও উন্নয়ন দিয়ে সাতক্ষীরার সর্বস্তরের জনতার গর্ব ও অহংকার এবং আশার-আকাঙ্খার প্রদীপ। এমপি রবি এমনি একজন জন দরদি নেতা যার সব সময়ের ধ্যান-জ্ঞান এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন। সাতক্ষীরা প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এমপি রবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নদী ও খাল খননের জন্য একনেকে ৪৭৫ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। ফলে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে এবং সাতক্ষীরার নদী ও খালে হবে জোয়ার-ভাটা। সাতক্ষীরায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে সবই তার অবদান ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। সাতক্ষীরার উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনিই প্রশংসার দাবিদার। তিনি প্রত্যহ সকালে ঘুম থেকে উঠে মহান আল্লাহ ও রাসূল কে স্মরণ করে হাসি মুখে বেরিয়ে যান অসহায় মানুষের সেবা ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দলীয় সাংগঠনিক কর্মকান্ডে। যে কারণে এমপি রবি বারবার জনগণের ভালোবাসা নিয়ে বিপুল ভোটে সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে জয়লাভ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতার জন্য সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করবেন সাতক্ষীরাবাসীর এখন একটাই চাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। 8,472,347 total views, 3,963 views today |
|
|
|