জুন ১৩, ২০২০
জাল দলিল সৃষ্টি করে জমির মালিকদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরার নগরঘাটায় জাল দলিল সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্য জমির মালিকদের মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের সোবহান অনসারীর ছেলে কামরুল ইসলাম ও আবু বক্কর আনসারীর ছেলে জিল্লুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, নগরঘাটা গ্রামের মৃত রফিক মোড়লের ছেলে রহমত আলী আনসারীর সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। নিজের সম্পত্তি দখলে থাকার পরও রহমত আনসারী অন্য শরিকের সম্পত্তি কৌশলে দখলের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সে একের পর মিথ্যে মামলা দিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে একটি জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতে মামলা করা হলে আদালত উভয় পক্ষকে স্ব স্ব স্থানে ভোগদখলে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা ওই নির্দেশনা অমান্য করে অন্য একটি সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন। ওই সম্পত্তি নিয়ে কোন মামলা চলমান না থাকলেও রকিব ও তার ছেলে আলমগীরের ইন্ধনে রহমত, তার স্ত্রী ও ছেলেরা নগরঘাটা মৌজায় ৬৯৩৫ দাগের সম্পত্তির গাছ পালা কেটে নেয়াসহ ভোগ দখলের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা বাধা দিতে গেলে সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলে তারা দাবি করেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ৬৯৩৫ দাগের সম্পত্তি নিয়ে আদালতে কোন মামলা নেই। তারা আইন ও আদালতের মিথ্যে দোহাই দিয়ে উক্ত সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করে। এ বিষয়ে গত ২৪ মে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় রহমত আনসারীদের সাথে আমাদের ধাক্কা ধাক্কি হয়। এ সময় পড়ে গিয়ে রহমত আনসারীর মাথায় সামান্য কেটে যায়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা বা মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। অথচ এ নিয়ে রহমত আনসারীর স্ত্রী পাটকেলঘাটা থানায় একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করলে পুলিশ এক জনকে আটকও করে। গত ১০ জুন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিরুদ্ধে তাদের মামলা তুলে নিতে খুন জখমরে হুমকি ধামকি দেয়ার যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট। তিনি উক্ত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, রকিব, আলমগীর ও রহমত গংরা জাল দলিল সৃষ্টি করে গত ১০ বছর ধরে আমাদের একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। উক্ত জাল দলিলের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করলে তদন্তের জন্য স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তাদের দলিলটি সন্দেহযুক্ত মনে হয় বলে আদালতে প্রতিবেদন দেন। তারা জাল দলিল সৃষ্টিকারী রকিব ও আলমগীর গংদের হাত থেকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 8,617,788 total views, 9,445 views today |
|
|
|