মে ৪, ২০২০
১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে রাতারাতি প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন
ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোবাবরকপুর গ্রামে ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে একই এলাকার আনছার খাঁ’র পুত্র রফিকুল খাঁ’র নেতৃত্বে ১০/১৫ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ১৬ বছরের ভোগ-দখলীয় সম্পত্তিতে রাতারাতি প্রাচীর নির্মাণ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৪ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তালার মোবারকপুরের মৃত আমীন উদ্দিন মোড়লের ছেলে আব্দুর রহমান মোড়ল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মোবারকপুর মৌজায় ২৪৬ হাল ২১৪ দাগে ১৩ শতক সম্পত্তি মধ্যে ৫ শতক এবং ৩০৯ হাল ৩২৭ দাগে ২২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু গত তিন বছর পূর্বে একই এলাকার আকবার আলী সরদারের ছেলে আসলাম সরদার একই দাগে ১৩ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৮ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে। কিন্তু তার পাশে থাকা আরো এনিমিসহ ৩৮ শতক সম্পত্তি সরকারে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে অবৈধ ভোগদখল করে আসছে। এর জের ধরে গত ০৭ আগস্ট’১৯ তারিখ বুধবার সকাল ৮টার দিকে ওই আসলামের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীসহ ধারালো অস্ত্র, শস্ত্র নিয়ে আমার ক্রয় করা ৫শতক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এতে আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এ সময় আমার ভাইপো নাজমুল মোড়ল ও আমার ছেলে রাজু আহমেদ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে এবং প্রাচীর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। আমি তালা থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী তারা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেও জান-মালের ক্ষতির হুমকি প্রদর্শন করে বলছে ‘এই সম্পত্তির উপর আসলে তোদের খুন করে লাশ গুম করে দেবো’। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসে আদালত বন্ধ থাকায় গত ৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দিবাগত রাতে আসলাম সরদারের নেতৃত্বে ১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে তালা সদর গ্রামের আনছার খাঁ’র ছেলে রফিকুল খাঁ সহ উপরের উল্লেখিত ১০/১৫জন ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্যরা উক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে প্রাচীর নির্মাণ করে দখল করে নেয়। এ সময় মেহগনি গাছ, বাঁশ কেটে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা। থানা পুলিশ সুষ্ঠুভাবে বিষয়টির মীমাংসা করে দিবেন। কিন্তু বাস্তবে তার ব্যতিক্রম হলো। ইতোপূর্বে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য গত ১৩ নভেম্বর‘১৯ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের গণশুনানিতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে তিনি বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে প্রেরণ করেন। প্রায় ৮ মাস পরে ঠিকই তারা আমার ভোগ-দখলীয় সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। প্রাচীর নির্মাণের পরের দিন সরকারি বিদ্যুতের খুটিতে সিসি ক্যামেরা সেট করেছে। সন্ত্রাসী দখলদার বাহিনীর হাত থেকে আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তি উদ্ধার এবং দখলের সাথে আমি ক্ষতিপূরণসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 8,619,615 total views, 11,272 views today |
|
|
|