জানুয়ারি ২৭, ২০২০
দালালমুক্ত সাতক্ষীরা খাদ্যগুদামে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করে খুশি প্রান্তিক চাষীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় চলতি বছর খাদ্যগুদামে প্রান্তিক কৃষকরা হয়রানি ছাড়াই সরকারি মূল্যে ধান বিক্রয় করতে পেরে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক আহম্মেদ রবিকে। উৎফুল্ল কৃষকরা আগামীতেও খাদ্য গুদাম দালালমুক্ত রাখার জন্য মাননীয় সংসদ মহোদয়রে নিকট দাবি জানান। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মাসুদ রেজা দালালমুক্ত খাদ্য গুদামের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের কঠোরতার কারণে সম্ভব হয়েছে বলে জানান। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চলতি বছর সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক সদর উপজেলার খাদ্য গুদামে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্ধারণ করেন সদর আসনের সংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। এছাড়া ধান সংগ্রহের উদ্বোধনি দিনে তিনি কৃষকদের হয়রানি না করে প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয় করার জন্য কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা উক্ত নির্দেশনা মেনে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। বর্তমানে লটারিতে নাম থাকা সদর উপজেলার বিভিন্ন কৃষক হয়রানি ছাড়াই গুদামে ধান বিক্রয় করেছে। এখনও অনেক কৃষক সরকারের ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রির জন্য গুদামে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে একাধিক কৃষক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে খাদ্য গুদাম দালালদের দখলে থাকায় কৃষকরা ঠিকমত ধান বিক্রয় করতে না পারায় দীর্ঘদিন ক্ষুদ্ধ ছিল। তবে এ বছর হয়রানি ছাড়াই ধান বিক্রয় করতে পেরে খুশি এসব কৃষকরা। এদিকে সদর উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের প্রন্তিক কৃষক আমীর আলী, নিত্যানন্দ সরকারসহ অনেকে জানান, এর আগে খাদ্যগুদামে দালালদের কারণে আমাদের ধান ক্রয় করা হয়নি কিন্তু চলতি বছর এমপি মহোদয়ের কঠোর নির্দেশ থাকায় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ধান সংগ্রহ শুরু থেকে কোন দালালকে গুদামে প্রবেশ করতে দেননি। তারা গুদামে আরো বলেন, এমপি মহোদয়ের কারণে এবছর প্রান্তিক কৃষকরা সরকারি মূল্যে গুদামে বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছেন। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ খাদ্য গুদামে প্রভাবশালী নেতা, ফড়িয়াসহ বিভিন্ন দালালদের দৌরাত্ম্য এবং তাদের সিন্ডিকেট গুদামে অবৈধভাবে ধান বিক্রয় করায় প্রকৃত কৃষকরা দীর্ঘদিন চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ বছর ন্যায্যমূল্যে ২৬ টাকা দরে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে পেরে কিছুটা হলেও লাভবান হয়েছেন। এসব কৃষকরাও সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কৃষকের বন্ধু মীর মোস্তাক আহেম্মদ রবির প্রতি আগামীতেও যেন উপজেলার খাদ্য গুদামকে এভাবে দালালমুক্ত রাখার দাবি জানান। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংসদ সদস্য মহোদয়ের নির্দেশনা মেনে প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। কোন কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মাসুদুর রেজা জানান, চলতি আমন মৌসুমে সদর উপজেলায় কৃষকের নিকট থেকে ৩১১৩ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা গত ২০ নভেম্বর থেকে কৃষকদের নিকট থেকে থান সংগ্রহ শুরু করেছি। রোববার (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত উপজেলার কৃষকদের নিকট থেকে ১৩৫০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত লটারিতে নির্বাচিত কৃষকদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে। 8,477,773 total views, 2,501 views today |
|
|
|