ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
আদালতের রায় পেয়েছে এক পক্ষ; জমি দখলে অন্য পক্ষ!
তালা প্রতিনিধি: তালায় আদালতের রায় পেয়েও জমি দখলে যেতে পারছে না মাগুরা গ্রামের মৃত মো: জালাল উদ্দীন ফকিরের ছেলে এ.কে.এম কামরুজ্জামান ও তার পরিবার। উল্টো রায় বিপক্ষে যাওয়া সত্ত্বেও জমি দখল করে ঘর নির্মাণের উৎসবে মেতেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় এলাকা বাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মাগুরা গ্রামের এ.কে.এম কামরুজ্জামান জানান, তারা মাগুরা বাজারের এসএ জরীপের ১২৩৭ নং খতিয়ানে ১৩৯৫ দাগের ৬৬ শতক জমির মধ্যে ৩০শতক জমি আব্দুল করিম সিদ্দিকীর একমাত্র ছেলে হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে তার পিতা মো: জালাল উদ্দীন ক্রয় করে দখল বুঝে নেয়। অপর এস.এ জরিপ ১২৪৬ নং খতিয়ানে ১৪১৩ দাগে অন্যতম প্রজা আব্দুল করিমের একমাত্র ছেলে এ এস এম হাফিজুর রহমান এবং আব্দুল মালেক মোট ৫৬ শতক জমি বাদী পক্ষের মাতা ক্রয় করিয়া দখল বুঝে নেয়। পরবর্তীতে মাগুরা গ্রামের মৃত শফিয়ার রহমানের ছেলে শেখ আতিয়ার রহমান এর সাথে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হলে এ.কে.এম কামরুজ্জামান ৩৭৫/৮৪ নং মামলা দাখিল করে। উক্ত মামলায় বাদী পক্ষ ২৩.০২.১৯৯১ তারিখে ডিগ্রি হয় এবং ০৬.০৩. ১৯৯১ তারিখে ড্রন আপ হয়। উক্ত মামলা রদরহিত করার জন্য বিবাদী পক্ষ ০৫/১৯৯২ নং মামলা করেন যাহা দোতরফা বিচারে বিগত ১৭.০৩.১৯৯৪ তারিখে ডিসমিস হয় এবং ইং ২৪.০৩.১৯৯৪ তারিখে ডিসমিসাল ডিগ্রি ড্র আপ হয়। উক্ত রায় ডিগ্রির বিরুদ্ধে ০৫/১৯৯২ মামলার বাদী পক্ষ সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে দে, আপিল ৫৬/৯৪ নং দাখিল করেন যাহা ১০.০৫.১৯৯৭ তারিখে ডিসমিস হয়। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে উক্ত ৫৬/৯৪ মামলার বাদী পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন নং ১০৮/১৯৯৮ দাখিল করেন। উক্ত সিভিল রিভিশন না চালানো হেতু বিগত ইং ২৬.০১.২০১২ তারিখে রুলটি ডিসচার্জ হয়। বিবাদী পক্ষ ৩১.১২.৬৪ তারিখে ১৮২১ নং রেজিস্ট্রীকৃত কোবলা এবং ১৮.০৪.৬৯ তারিখের রেজিস্ট্রীকৃত কোবলা কোবলা সৃষ্টি করেছে তাহা জাল, তঞ্চকী ও পণবিহীন তাহা মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হইয়াছে এবং বিবাদী পক্ষের দলিল সাতক্ষীরা কোর্টের সেফ কাস্টোরিতে আটকানো রয়েছে। 8,632,212 total views, 11,762 views today |
|
|
|