সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
পাইকগাছায় প্রায় ৫০ বিঘা সম্পত্তি থাকা সত্তে¡ও মা এবং ৮ মেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে
পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় প্রায় ৫০ বিঘা জমি থাকা সত্তে¡ও মা এবং ৮ মেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। একমাত্র পুত্র নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে সমুদয় সম্পত্তি নিজ দখলে রেখে সকলকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। পুত্র আব্দুস সামাদ গাজী মা ও বোনদের নামে খুলনা ৪র্থ যুগ্ম জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, আব্দুস সামাদ গাজী পিতা উপজেলার মালথ গ্রামের মফেজ উদ্দীন গাজী এলাকার একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি অত্র এলাকার মসজিদেরও দীর্ঘ ২৫ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ১১/১১/২০১৬ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে একমাত্র পুত্র আব্দুস সামাদ গাজীর নামে ১৬ বিঘা জমি খরিদ করে যান এবং নিজ নামে মালথ, গদারডাঙ্গা, তেতুলতলা, রামচন্দ্রনগর, কামারাবাদ মৌজার বিভিন্ন খতিয়ানে ১৩.৭১ একর সম্পত্তি রেখে যান। মৃত্যুকালীন সময়ে তিনি স্ত্রী ফিরোজা বেগম একমাত্র পুত্র আব্দুস সামাদ, কন্যা রাফেজা বেগম, সুফিয়া খাতুন, সালেহা বেগম, আলেয়া বেগম, ছাবিয়া খাতুন, মাজিদা বেগম, মনিরা বেগম ও অলিভিয়াকে রেখে যান। তার পুত্র, মা ও বোনদেরকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য মৃত্যুর পূর্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত পিতা মফেজ উদ্দীন গাজীর লাইসেন্সকৃত বন্দুক নবায়ন করার নামে একাধিক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় বলে জানান কন্যা রাফেজা বেগম। উক্ত স্ট্যাম্পে গত ১৪/০৮/২০১৬ তারিখে পাইকগাছা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ২৬৪নং হেবা দলিল করেন। উক্ত দলিলে সমুদয় সম্পত্তি তার পিতা তাকে হস্তান্তর করেন বলে উল্লেখ করেছেন। আব্দুস সামাদ নোটারি পাবলিকের হেবা দলিল নিয়ে সমুদয় সম্পত্তি নিজের দাবি করে মা ও বোনদের বিরুদ্ধে গত ০৬/০১/২০১৯ তারিখে মোকাম, খুলনার ৪র্থ যুগ্ম জজ আদালতে দেওয়ানি ০৩/১৯ নং মামলা দায়ের করেন। এদিকে, বৃদ্ধ মা স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পুত্র সামাদ তার বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে মর্মে রাফেজা অভিযোগ করেন। এমনকি তিনি বলেন, আমার হতদরিদ্র বোন অলিভিয়া খাতুনের বাড়িতে আমার মা অবস্থান করছে। যেখানে আমরা বোনেরা মায়ের খরচ বহন করি। নানার বাড়িতে মা’র ফারায়েজ সূত্রে ৫/৬ বিঘা জমি থাকলেও আমার ভাই ও মামারা তা থেকেও মাকে বঞ্চিত করেছে। এখন পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে আমরা ৮ বোন ও মা দ্বারে দ্বারে ধন্যা দিয়ে চলেছি। এ বিষয়ে আব্দুস সামাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 8,599,491 total views, 7,370 views today |
|
|
|