আগস্ট ৪, ২০১৯
ছাত্রলীগ নেতা আহতের ঘটনায় থানায় মামলা : সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ছাত্র-শিবিরের গুলিতে ছাত্রলীগ নেতা আজমির হোসেন ফারিব ও সৈয়দ সাদিকুর রহমান আহতের ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও ৪০/৪৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছে সাতক্ষীরা থানা পুলিশ। ঘটনার রাতেই পুলিশ ছাত্র-শিবিরের ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদিকুর রহমান সাদিক ও ফারিবের উপর গুলি বর্ষণ করে রক্তাক্ত জখমের প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ছাত্রলীগ। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সাবেক সভাপতি কাজী আকতার হোসেন, তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী, দেবহাটা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ এইচ সোহাগ, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরা-শিবতলা এলাকায় একটি মেসে ছাত্র-শিবিরের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্র-লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে পৌঁছালে তাদের উপরে গুলি বর্ষণ করে ও সন্ত্রাসী হামলা চালায় ছাত্র-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এসময় জেলা ছাত্রলীগের কর্মী আজমির হোসেন ফারিবের ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক। এ ঘটনায় ছাত্র-শিবিরের সন্ত্রাসীদের দ্রæত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান ছাত্র-লীগের নেতা-কর্মীরা। সদর থানার ওসি (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শনিবার রাতে সদর উপজেলার শিবতলার একটি মেসে শিবিরের গোপন বৈঠক হচ্ছে এমন খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক হোসেন সাদিকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা ফারিব সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী সেখানে পৌঁছায়। এসময় ওই মেস থেকে শিবিরের ছেলেরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা গুলি ছুঁড়লে ফারিব বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। শিবিরের ছোড়া ইটের আঘাতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আহত হয়েছে। তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাতেই সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্র-শিবিরের নেতা খুলনা জেলার কয়রা থানার ইউনুস আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৫), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোন-কাথন্ডা গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে ইমাদুল হক মিলন ও গাংনিয়া গ্রামের মুস্তাকিন বিল্লাহকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই তছলিম হোসেন বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪০/৪৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। 8,506,912 total views, 366 views today |
|
|
|