জুলাই ২৮, ২০১৯
সীমান্ত দিয়ে আসছে না ভারতীয় গরু: ন্যায্য মূল্যের আশায় খামারিরা : জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৫৬ হাজার পশু
নূর মনোয়ার: কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে সাতক্ষীরার পশু হাট গুলোতে শুরু হয়েছে কোরবানির পশু বেচা-কেনা। তবে এবার সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ না করায় কোরবানির পশুর সঠিক মূল্যে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন খামারিরা। অপরদিকে ক্রেতাদের চাওয়া, সুলভ মূল্যে রোগহীন, সুস্থ, সুন্দর দেখতে কোরবানির পশু। সাতক্ষীরার কয়েকটি পশুর হাট ও খামারে ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতাদের কেউ কেউ ঈদের পূর্ব মূহুর্তে পশুর মূল্যহ্রাসের আশঙ্কায় আগেভাগেই তার কোরবানির পশুটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন। আবার অনেকে ঈদের আগ মূহুর্তে কোরবানি পশু বিক্রি করতে আগ্রহী, তদের ধারণা তখন কোরবানি পশুর মূল্য সঠিক পাওয়া যাবে। একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতাদের মাঝেও। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য এ বছর সারা দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু মজুদ আছে। এরমধ্যে ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু ও মহিষ,৭২ লাখ ছাগল ও ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সাতক্ষীরাতে আগামী ঈদুল আজহায় কোরবানি পশুর চাহিদা ৫২ হাজার। জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের হিসেবে এ বছর সাতক্ষীরাতে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৫৬ হাজার ২৭৬টি। এরমধ্যে গরু ৩০ হাজার ৫৭৩টি এর মধ্যে ষাড় ২০ হাজার ৫৮৭টি, বলদ ৩ হাজার ৯৭৮টি, গাভী ৫ হাজার ৯৭৮টি। অনান্য পশুর মধ্যে মহিষ আছে ৪টি এবং ছাগল ও ভেড়া আছে মোট ২৫ হাজার ৭০৩টি এরমধ্যে ছাগল ২২ হাজার ৪৮০টি এবং ভেড়া ৩ হাজার ২২৩টি। সাতক্ষীরা বৈকারী কালিয়নী খাটাল পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে আগামী কোরবানি ঈদ পর্যন্ত গরু আমদানি বন্ধ রাখতে। আমাদের ধারণা খামারীদের আবেদনের ফলে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের বেশিদামে কোরবানির গরু কিনতে হতে পারে। শহরের ইটাগাছা এলাকার খামারি রুহুল আমিন জানান, আশা করছি বাজার ভাল থাকায় গতবারের তুলনায় এবার কোরবানির গরুর মূল্য বেশি পাব। বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা সে হিসাবে কোরবানির গরুর প্রতি কেজি ৬০০টাকা মূল্যে দাম পাব আশা করছি। বাঁকাল দৌলতপুর গ্রামের খামারি আকাশ ঢালি জানান, আমি ছয় মাস পূর্বে ১ লাখ টাকা দিয়ে একটি অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান বাছুর কিনি। খুদের ভাত, ভূষি, খোল, নেপিয়ার ঘাস ও অন্যান্য খাবার খরচ এবং বিদুৎ বিলসহ আমার প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয় । গরুটি এবার কোরবানি ঈদে ২ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রির আশা আছে। 8,507,554 total views, 1,008 views today |
|
|
|