জুলাই ১২, ২০১৯
অবশেষে আলিপুরের চেয়ারম্যান হলেন আব্দুর রউফ
রাকিবুল ইসলাম / মাজহারুল ইসলাম: দীর্ঘ অপেক্ষার পর আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের পুনঃ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুর রউফ। ৫ কেন্দ্রে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন, ৪ হাজার ৬৮ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মোহাম্মাদ মহিউর রহমান (ময়ূর ডা:) নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩’শ ৯৬ ভোট। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আলিপুর ইউনিয়নের পাঁচটি কেন্দ্রে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পূর্বের ৪টি কেন্দ্রেসহ সব মিলিয়ে মোট ৯ টি কেন্দ্রে ধানেরশীষ প্রতীকে ১০,১৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মো. আব্দুর রউফ। বিগত ২০১৬ সালের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোট ৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে চারটি কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হলেও বাকি ৫টি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বাতিল করা হয়। এই ৫ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৯,২২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ ৫৯৭ জন ও মহিলা ৪,৩৩৪জন। ভোট গ্রহণ শেষে এই ৫টি কেন্দ্রের মধ্যে আলীপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১৩৬ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৭১৬ ভোট, আলীপুর সেন্ট্রাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা পেয়েছে ৭৮৯ ভোট, ধানের শীষ পেয়েছে ৫৩৮ ভোট, আলীপুর দিঘির পাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা পেয়েছে ১৬০ ভোট, ধানের শীষ পেয়ে ১০১৩ ভোট, বুলারাটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে ১৭৫ ভোট, ধানের শীষ পেয়েছে ১০৫৭ ভোট ও দক্ষিণ আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা পেয়েছে ১৩৬ ভোট এবং ধানের শীষ প্রতিক পেয়েছে ৭৪৪ ভোট। ৫টি কেন্দ্রে কাস্টিং ভোটের মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৪০৬৫ ভোট এবং নৌকা প্রতিক পেয়েছে ১৩৮৫। পূর্বের ৪টি কেন্দ্রেসহ মোট ৯ টি কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী মোঃ আব্দুর রউফ ধানেরশীষ প্রতীক নিয়ে ১০,১৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে আলীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামীলীগের প্রার্থী নৌকা প্রতিক নিয়ে ৩,১০৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, আলিপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডের চারটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারগণ কমিশনে আবেদন করলে কেন্দ্রগুলোর ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই এই চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৌকা প্রতীকের মোহাম্মাদ মহিউর রহমান পেয়েছিলেন ১হাজার ৭’শ ২১ ভোট এবং ধানের শীষ প্রতীকে মো. আব্দুর রউফ পেয়েছিলেন ৬হাজার ৫০ ভোট। এই চারটি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী মো. আব্দুর রউফ মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল করেন। অন্য পাঁচটি কেন্দ্রেও ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচনি আচরণবিধি লংঘন করে ভোট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি ঘোষিত ফলাফল বাতিলসহ পাঁচ কেন্দ্রে পূণরায় ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন করেন আদালতের কাছে। দীর্ঘদিন মামলাটি শুনানির পর মহামান্য উচ্চ আদালত প্রধান নির্বাচন কমিশনকে বাকি পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য গত ২৭ জুন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাকি পাঁচটি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে মোট ৩হাজার ১’শ ১৭ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি প্রার্থী ১০হাজার ১’শ ১৮ ভোট পেয়ে ৭০০১ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারীভাবে জয়লাভ করেছে। নির্বাচনি কেন্দ্র এবং ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, ম্যাজিস্ট্রেট, গোয়েন্দা, ডিজিএফআই কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকবৃন্দ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। জেলা নির্বাচন অফিসার নাজমুল হোসেন জানান, শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 8,509,015 total views, 2,469 views today |
|
|
|