জুলাই ২২, ২০১৯
আ. লীগ নেতা নজরুলের পরিবারে একের পর এক খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে ৯ বার হামলা হয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামের পরিবারের ওপর। ৭ বছরে এই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছিল নজরুল ইসলামের ভাই সিরাজুল ইসলামকে। এরপর ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছিল নজরুল ইসলামের ভাইপো সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাসেল কবিরকে। সর্বশেষ নজরুল ইসলামকে (৪৮) গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শহরতলীর কাশেমপুর হাজামপাড়া নামকস্থান থেকে পুলিশ নজরুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে। মৃত্যুর পূর্বে নজরুল বহুবার বিভিন্ন সাংবাদিকদের সাথে বলেছেন, শক্ররা যেকোন সময় তার ও তার পরিবারের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালাতে পারে। নজরুল পরিবার জীবনের ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও তাদের নিরাপত্তা ও সম্ভাব্য হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পুলিশের বিশেষ কোন তৎপরতা না থাকায় শক্রুপক্ষ বারবার নজরুলের উপর হামলা করেও পার যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, মাদক ও চোরাচালানের রুট আঁগরদাড়ি ইউনিয়নের সন্ত্রাসী একটি বড় অংশ মাদক ব্যবসায় সাথে জড়িত। তারাও নানাভাবে প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়ে আসছেন। এরা কখনও কখনও গ্রেফতার হলেও বিচারের মাধ্যমে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার ক্ষেত্রে সফলতা দেখা যায় না। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চলমান সংঘাতের মধ্যে সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার ভাই সিরাজুল ইসলাম (৫৩) কে গুলি করে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতের এই হামলার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করেছিলেন আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। ওই হামলার সময় নজরুল বাড়িতে ছিলেন না। তাকে না পেয়ে তার বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম সরদারকে (৫৩) হত্যা করা হয়। ওই হামলায় আহত কওছার আলী একই গ্রামের আফতাব সরদারের ছেলে। তিনি নজরুল ও সিরাজুলের ভগ্নিপতি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইতিপূর্বে হত্যাকাÐগুলোর বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। 8,508,700 total views, 2,154 views today |
|
|
|