ক্ষণ স্রোতা মরিচাপ তটে দাঁড়িয়ে অম্বর পানে দু’হাত বাড়িয়ে! আমি উড়তে চাই যেভাবে বিহগ ডানাতে দিয়ে ভরÑ সমীরণে ভেসে বেড়াই। চাই বালুতে বাঁধিতে ঘর যেভাবে অষ্টপায়ী কাঁকড়া গড়িছে তার ঘর। হিংসা তব আমি করি, বিধু’ যা দিয়েছ তুমি ভূবন ভরি। সূর্যোদয় দেখি আঁধার কেটেছে, যখনই আলো আসি মর্তে পৌঁছে। অস্তমিত ক্ষণ আসিল যখন বিপরীত তার দেখিনু তখন। বিধাতা’ তোমারই হাতে হয়েছে এসবের রূপদান, তবে কেন সুন্দরের এত রঙিন ব্যবধান। উভই ঈর্ষাণীয় সুন্দর কারণ বিধাতা’ করেছ তুমি তা মোদের দান। ঘোলটে তটিনীর জলে যখন অস্তমিত সূর্যের ছায়া এস পড়ে; তখন তি মায়াবী আখরÑ না পড়ে মানব হৃদে। অস্তচলা লালচে আভা যখন মেঘের ভেলার সাথে মিশে, সাজায় পশ্চিমের আকাশে। তখন মানব হৃদয়ে নাড়া লাগে! যখনই বিপুলা পৃথিবীর এই ক্ষুদ্র রূপ আমি দেখি- যায় নয়ন ও মন আমার ভরি। আল্লাহ্ তোমার নিখুত সৃষ্টি দেখি, এবাদাতে তোমার সিজদায় আমি পড়ি।
7,474,673 total views, 1,899 views today