ফরসা সকাল চকচকে দেয়ালের গা ঘেঁষে যখন থমকে দাঁড়ায় ভাড়াটে নেতা মঞ্চে, টুপির জেল্লায় ছারখার করে বিজয়ের চাঁদ, ঝাঁক ঝাঁক বুনো কৈতোর টাটকা শষ্যের ক্ষেতে কষ্টের নষ্ট ফাঁদ জ্যোৎস্না খসে যায় তবুও বেজন্মা শুকরের পক্ষে কেউ হাত বাড়ায়। কেউ বলে কথা কেউ বলে না, বেয়াড়া রক্তের তেজে উত্তাল বিবর্ণ সময় দু’হাতে ফাঁক করে অন্ধকার খিলখিল হাসে বেওয়ারিশ জারজের দল, শরীরের শার্শি পোড়ায়, শিক্ষালয় করে শ্মশ্মান, পোড়ে কচি তাজা ফল স্বপ্নের সকাল পোড়ে, দুপুরও পুড়ে ছাই, পড়শিরা কলসে কান্না জমায়। সময়ের সাঁকো বেয়ে দিন যায়, চোখের আগুন নেভে, ইতিহাস নেভে না কেউ ভোলে কেউ ভোলে না, পোড়া ক্ষতে কেউবা ছিটোয় লবণ, রাজপথ জ্বলে উনুনের মত, জ্বলে পোস্টার-প্লাকার্ড বুকের পবন পোড়া কপালিদের হাঁকে, কেউ ফিরে দেখে কেউ কেউ দেখে না। ইতিহাস ভারী হয়, তুফানে তুফান শিল্পীর তুলিতে বাড়ে গুণাগুণ সীমা, তনু খাদিজারা চিৎকার করে, পোড়া বাতাসে গন্ধ ভাসে তার, নুসরাতের জ্বলন্ত পায়ে জাতির লজ্জা লেখা, এ লজ্জা তবে কার? শরীরের ক্ষত বেয়ে দিনের আলোয় মগজে ঢুকেছে অজ¯্র শকুন। স্বর্গের সিঁড়ি ভেঙে গেছে। নরকের মঞ্চে সাদা কালো অসংখ্য টুপি বায়ান্নোর বেড়া ভেঙে ঢোকানো বিষাক্ত গোখরোর বিষ, একাত্তরের দালালের ভার আজো দেখি করছে ফিসফিস সচিত্র আলো মুছে বাঙালির শ্বেত সভ্যতার দেয়ালে জ্বালায় কুপি।
8,561,298 total views, 3 views today