এপ্রিল ৮, ২০১৯
মণিরামপুরে মাদরাসা ও এতিমখানা নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলার গরীবপুর-চাঁদপুর জান্নাতুল উলুম হাফিজিয়া কওমী মাদরাসা এতিমখানা নিয়ে কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় গরীবপুর দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন বয়োবৃদ্ধ ইউছুপ আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মাদ্রাসার নামে আদায়কৃত অর্থের হিসাব চাওয়ায় হিসাব না দিয়ে উল্টো গরীবপুর-চাঁদপুর উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানাটি উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে মাদরাসায় জমিদাতার পরিবার। মাদরাসার নামে ১৭ শতক জমি নির্ধারণ করে ২০০০ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন ওই গ্রামের মরহুম আলহাজ্ব ক্বারী মোমতাজ উদ্দিনসহ গরীবপুর ও চাঁদপুর দুই গ্রামের লোকজন। বিভিন্ন ইটভাটা ও দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ওই জমির ওপর প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পাকা ভবনও নির্মাণ করা হয়। গত ৬ বছর আগে ক্বারী মোনতাজের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর মাদরাসাটি পরিচালনায় গ্রামবাসি দায়িত্ব দেন মরহুম মোমতাজ উদ্দিনের ছেলে মাওলানা ইসমাইল হোসেন ও দুবাই প্রবাসী হাফেজ মো. ইউসুপ হোসেনকে। সংবাদ সম্মেলনে দুই গ্রামের কয়েকশ’ জনতার উপস্থিতিতে এসব কথা বলেন ইউসুপ আলী। এসময় মাদরাসা রক্ষায় অনেকে উচ্চ স্বরে কাঁদতে থাকেন। যা দেখে উপস্থিত সাধারন জনতাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে মাদরাসার উন্নয়নে আজীবন সদস্য সম্মেলন করা হয়। সম্মেলনে আদায়কৃত অর্থসহ পূর্বের হিসাব চাওয়ায় টালবাহানা শুরু করেন মাওলানা ইসমাইল হোসেন। এরপর থেকে শুরু হয় নানা ষড়যন্ত্র। এসময় মাদরাসা ১৪ সদস্য’র পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেন ছাড়া বাকী সবাই উপস্থিত ছিলেন। মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক শিক্ষক আবুল কালাম জানান, এখন মরহুম মোমতাজের ছেলে মাওলানা ইসমাইল হোসেনের কাছে ওই হিসাব চাওয়া হলে, হিসাব না দিয়ে এখন তারা মাদরাসা উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। এমনকি তাদেরকে ফাঁসাতে নানা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০/৪০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। মাদরাসাটির ভবন যে জমির ওপর স্থাপন করা হয় ওই জমি খন্ড দলিল সম্পাদনের আগেই দাতা মোমতাজ আলীর মৃত্যু হয়। দাতা মোমতাজের মৃত্যুর পর মাদরাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার পর তার ওয়ারেশগণ মাওলানা ইসমাইল ও হাফেজ ইউসুফ আলী ওই জমিতে মাদরাসা না রাখতে দেয়াসহ নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাজী তবিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শাহীদুল ইসলাম, গরীবপুর মাদরাসার সুপার মুস্তাফিজুর রহমান, আলী হোসেন, হানেফ আলীসহ কয়েকশ’ গ্রামবাসী। 8,562,318 total views, 1,023 views today |
|
|
|