রক্তে রাঙানো ২১-তুমি
ফেব্রুয়ারির গান।
বাংলা মায়ের অশ্রুচোখে
মুখে ভরাট অভিমান।
সুখের সরিৎ তড়িৎ বেগে
ছুটছে দেখি আজ।
বাহান্নর ওই রফিক, শফিক
নিত্য নূতন সাজ।
মুক্ত মায়ের মুখে হাসি
বাংলা পেলো প্রাণ।
ভাইয়ের প্রাণে বাংলা স্বাধীন
রক্তে ঝরা গান।
শহীদ স্মৃতি মাতৃভাষা
আশার তরী হাসে।
রফিক, শফিক মিশে আছে
বাংলার দূর্বাঘাসে।
আন্দোলনে উঠছে ফুসে
বাঙালির জয়ও গান।
উর্দু ভাষার মৃত্যু শ্বাসে
বদনামেরই টান।
জয় বাংলা মুক্তস্বাধীন
মাতৃভাষা মুখে।
মায়ের চোখে অশ্রুসরিৎ
তবুও আছি সুখে।
তারপরেও দুঃখ আমার
একটাই অভিমান।
মায়ের মুখের ভাষাবিলিন
ইংরেজিদের গান।
চলছে শাসন কোর্ট কাচারি
সর্ব-ইতিহাসে।
বাংলা-শরীর জল ঢাকা ঢেউ
ইংরেজ-রাই হাসে।
রফিক, শফিক, রক্তে কেনা
বাঙালির জয়ও গান।
লাল-সবুজের নিশান উড়ে
ভেঙে মূর্ছা অভিমান।
আজ বাতাসে ভাসছে কথা
মায়ের মুখে হাসি।
মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা
বড্ড ভালোবাসি।
চাইনা আমি বাংলাতে আর
ইংরেজ পদচারণ।
চাইনা আমি শুনতেরে ভাই
অন্য কোন কারণ।
উর্দু ছিলো শত্রু আমার
তবে; ইংরেজ কেন আসে।
ইংরেজিদের ভাষা কেন?
দূর্বাঘাসে ভাসে।
আকাশ আজই আঁধার কেন
কিসের অভিমান।
কাব্য নিয়ে সৃষ্টি হলো
জয় বাংলার গান।
২১ আসে দূরাকাশে
বইয়ের ছড়াছড়ি।
মাতৃভাষার ইতিহাস জুড়ে
হচ্ছে তড়িঘড়ি।
সূত্র ভাষা যুদ্ধ আশা
বিজয়বসন্ত।
ফাল্গুন তুমি আটই দিনের
সাক্ষী অনন্ত।
রাজপথে ওই রক্তঝরা
পলাশ, জবা, পুষ্প হাসে।
গহীন বনে বাঘেরা সব
আজ যে ছুটে আসে।
চোখের পাতায় তবুও কেমন
হিংসার গন্ধনীতি।
দুঃখের করাত করছে ক্ষত
জীবন বিবেক হচ্ছে ক্ষতি।
মায়ের ভাষা তবুও কেমন
অসহায় গায় গান।
দুঃখ আমার বসে থাকে
করে অভিমান।