সূর্যটার কাছাকাছি হতেই আচমকা
ভাবনাগুলো হোঁচট খায়। দিনের স্পষ্টতার মতোই
মনে হয়েছিল তাকে, মনে হয়েছিল
সর্বনাশা ধামে গ্রাস করা অন্ধকার, স্মৃতির অতলে
জমে থাকা সব দুঃখ
তার অরুনিমায় অমৃত জ্যোতি ফিরে পাবে,
সৃজন করবে লাবণ্য মুহূর্ত।
কিন্তু সেই দিবাকরের বিকিরণ
ঘোর অমানিশায় চুবিয়ে মারলো তাকে
ঠিক প্যারালাইসের রুগির মতন-
না পারে সইতে, না পারে বলতে।
শুকিয়ে যাওয়া গাছটার মতো দশা হয় তার,
কেবল দরদর করে গড়িয়ে পড়ে জল
দুচোখ ভরে-
কাল বৈশাখি ঝড়ো হাওয়ার মত অসহিঞ্চু ঘোর
কেমন সব ওলোট- পালোট করে দেয়,
প্রেম পূজারির মন্দিরে তপ্ত জ্বালা হয় না নিবারণ
কেবলই দুঃখ নিশার ক্যানভাসে হয় দেশান্তরি-
এ কেমন হয়?