যে হাসিটি দেখে তুমি থেমেছিলে একটি ক্ষণ, ও পাগল মন অনুভূতি ধরে রেখে ভুলে যেও সে বদন। বাঁশীর যে সুরে তুমি হারিয়েছিলে নিজেকে, সুরের মাধুরীকে রাখিও মস্তিষ্কে ভুলিও সে বাঁশিকে। যে স্পর্শটিতে তোমার সাধের কায়াতে হিমেল হাওয়া বয়েছিলো চৈত্রের খর রোদে, ভুলে যেও স্পর্শদাতাকে ছোঁয়ার সে মায়াটুকু- ভুলিও না অনন্তে। যে মুখের মধুভাষা বাসন্তী দোলা দিত হৃদয়ে, তাকে তুমি ভুলে যেও মায়াটুকু আমৃত্যু মেখে নিও গায়ে। অঙ্গের দ্যোদুল্য, লাজুক দোলা শিমের ডগার মত, শিহরিত হয়েছিলো জলতরঙ্গে, সে ঢেউয়ে ভাসতে থাক, অমৃত মিশিতে চেও না সে নধরাঙ্গে। একদা যে ভালবাসা সজীবতা এনেছিল মরুর বুকে তাতে তুমি শিতল হও আমৃত্যু পেতে চেও না সে মানুষটিকে।
8,573,004 total views, 774 views today