আজো মনে পড়ে সেই ঘাস ফড়িং এর কথা- দূর্বাঘাসের সবচেযে স্পর্শকাতর লাজুক অঙ্গে ছুয়েঁ যেত— আর তা দেখে টুইট টুইট করে ডেকে যেত টুনটুনিটা, রসিক প্রজাপতি তাদের- মিলন সংলগ্ন বাতাসে শীতল ঢেউ তুলে যেত, শরতের সাদা মেঘ- নিরাপদ চাদর হয়ে তাদের ঢেকে দিত। এখনো দৃষ্টির সীমানায় ভেসে ওঠে কাকতাড়ূয়ার হাতের উপর- চড়ুই পাখিদের ভালবাসাবাসির মিষ্টি খেলা, হেমন্তের শীতল বাতাসেরা- সবুজ ধানক্ষেতে নৃত্য করত আর তাদের ভালবাসার খেলাকে ধারণ করত মহাকালের স্বরলিপির পাতায়। ওদের উত্তর পুরুষদের শিরার স্পন্দনে নেই আজ সূরের মূর্ছনা, আছে কান্নার তপ্ত নীর আর অভিশাপ, শিশিরের পরিবর্তে আছে দূর্বার ডগায় চাপ চাপ খুন, হিংসার তাবুঁতে পেট্রোলের অট্টহাসি। বুকের মহাগভীরে গণিতের সুক্ষ্ণতম স্থানে সুবিশাল পাথরচাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি- লক্ষ লক্ষ অসুস্থ উম্মাদ শূকুরের- অশীল উম্মত্ত যৌনতার মিছিলে, সহস্র ক্ষুধার্ত শকুনের- বিষাক্ত কোলাহলের ভিড়ে।
8,579,799 total views, 7,569 views today