শুকনো কাঠ বড় যতœ করে-
রাঁধুনী যখন চুলার আগুনে দেয়,
দাও দাও করে সে জ্বলতে থাকে
পুড়তে ভাল লাগে আর জ্বলতে ভাল লাগে।
গৃহিনীর ক্লান্তিঝরা ঘর্মাক্ত আনন্দাশ্রু
আর দহনের যন্ত্রণার কান্নার বাষ্প
ধোঁয়া হয়ে যায় মিলিয়ে ঐ বাতাসের আগে
পুড়তে ভাল লাগে আর জ্বলতে ভাল লাগে।
পুড়তে পুড়তে আর জ্বলতে জ্বলতে
দহনকেই সে নেয় সঙ্গী করে,
অবশেষে কোনক্ষণে আগুন যায় নিভে
তার প্রয়োজন শেষ হয় যবে,
দপ দপ শব্দে হৃদয়ের স্পন্দন-
শোনা যায় পোড়া কয়লার ঝাকে,
পুড়তে ভাল লাগে আর জ্বলতে ভাল লাগে।
আস্তে আস্তে করে নিস্তেজ হয়ে যায়
নিথর শান্ত সে হয়ে যায় নিরব,
তবুও মৃত্যু না হয় তার হয়না সে শব,
হৃদয়ের আকুতি তার না ফেলুক কেউ তারে
নর্দমা বা ময়লা ফেলার ঐ পচঁনীর ভিতরে,
ফিরে যেতে চায় না সে ঐ শুকনো কাঠরূপে
সবুজ বৃক্ষ হতে বা ঘুমাতে চিরতরে,
কোনদিন যতœ করে যদি তুলে নেয় তারে,
কোন চায়ের দোকানি তার বাষ্পচুল্লীতে
জ্বালানোর তরে,
বুঝে যায় এটাই চাওয়া তার মনের বাকে
পুড়তে ভাল লাগে আর জ্বলতে ভাল লাগে।
ভালবাসার অগ্নিকূপে যে ঝাপ দিয়েছে
আমৃত্যু সে শুধু পুড়তেই ভালবাসে,
প্রেমিকের বুকের যন্ত্রণা যদি কমে যায়
শিরের ব্যকুল ব্যাথা কভু শিথিল হয়,
বড় খারাপ লাগে,
পুড়তে ভাল লাগে আর জ্বলতে ভাল লাগে।