মনে আছে প্রিয়তী বউ-পুতুল খেলার দিনগুলি?
আমি সুর করে বলতাম,
“রেল গাড়ি, রেল গাড়ি,
কন্যা যাক শ্বশুর বাড়ি।”
আর তুমি তখন বলতে,
“রেল গাড়ি, রেল গাড়ি
কন্যা থাক বাপের বাড়ি,
জামাই আসুক শ্বশুর বাড়ি।”
তারপর তুমি বলেছিলে- দ্যাখো তুমি আর ক্কখনো আমার বাবুটাকে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলবে না। আমার খুব কষ্ট হবে বাবুকে ছেড়ে থাকতে। তুমি এমন পাষ- বাবা কেন?
এই কথা শুনে আমি তোমাকে মজা করে বলেছিলাম-
প্রিয়তী আমি কী সত্যিই পুতুলের বাবা?
তুমি বলেছিলে হ্যাঁ, বাবাই তো।
তাহলে তুমি আমার কে?
-আমি তোমার বউ।
-সত্যিই?
-হ্যাঁ, সত্যিই তো।
আমি তখন তোমার হাত ধরে বলেছিলাম, চলো তাহলে বাড়ি চলো। মাকে সব বলতে হবে।
-মাকে মানে?
-ঐ যে তুমি আমার বউ।
তখন তুমি লজ্জায় আর মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারোনি। পুতুলকে ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালালে। এক সপ্তাহ তুমি আমার সামনে আসোনি। তারপর একদিন হঠাৎ আমার সামনে এসে বলেছিলে, আমরা পরশু একবারে ঢাকায় চলে যাচ্ছি। বাবার চাকুরি বদলি হয়ে গেছে। তুমি ভালো থেকো। পুতুলকে তোমার কাছে রেখে গেলাম।
বাইশটা বছর পেরিয়ে গেছে। শুনেছি প্রিয়তী এক কন্যার মা। কন্যার নামও রেখেছে নাকি পুতুল। শুধু আমি তার বাবা না।