জুলাই ৩১, ২০১৮
দখলমুক্ত হলো কালিগঞ্জের সাপাখালী খাল, স্বস্তির নিঃশ্বাস এলাকাবাসীর
স্টাফ রিপোর্টার: কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নেঙ্গীর বিলের আলোচিত সাপখালী খালের অবৈধ নেটপাটা অপসারণ করে খালটি প্রভাবশালীদের কবল থেকে দখলমুক্ত করা হয়েছে। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নুর আহমেদ মাছুমের নেতৃত্বে প্রায় চার কিলোমিটারব্যাপী অবৈধ নেটপাটা উচ্ছেদ করে খালটি দখলমুক্ত করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ এই খালটি অবমুক্ত করায় পানির স্বাভাবিক গতি ফিরে আসতে শুরু করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারুলগাছা, হোগলা, চাঁচাই, শ্রীধরকাটি, বেজুয়া, শ্রীরামপুর, জয়পত্রকাটি, মুকুন্দমধুসুদনপুর, মৌতলা ইউনিয়নের ঝড়–খামার, উভাকুড়, মৌতলা, লক্ষীনাথপুর, চাতরা ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নেঙ্গী, বামনহাটসহ পাশ্বর্বতী এলাকার পানি নেঙ্গীর বিলের সাপখালী এবং কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নেবুখালী খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাতরা সুইস গেট দিয়ে পানি চুনা নদী হয়ে খোলপেটুয়া নদীতে অপসারিত হয়। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে ওই এলাকার শাহআলম ঢালী ও কিঙ্কর দেবনাথের নেতৃত্বে বাদশা, সেকেন্দার, আলীম, আনোয়ারুল, ফিরোজ লষ্কর, আলাউদ্দীন, সবুরসহ ১০-১২ জনের একটি দল সাপাখালী খালের হাজির উদ্দীন শেখের দীঘির পাশ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গা দখল করে নেট-পাটা দিয়ে মাছ চাষ শুরু করে। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলেও বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকে দখলদার বাহিনী। বিষয়টি জানতে পেরে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী নেটপাটা অপসারণের জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্মরণাপন্ন হন। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুমের নেতৃত্বে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে নেটপাটা অপসারণ করে খাল দখলমুক্ত করেন। তবে সরকারি খাল দখলের সাথে জড়িতদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। এবিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নুর আহমেদ মাছুম সাপখালী খালের অবৈধ নেটপাটা অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকার কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকারি খালে নেটপাটা দিয়ে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছিল। এর ফলে বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। এলাকাবাসীর অভিযোগ ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সরকারি খাল থেকে অবৈধ নেটপাটা অপসারণ করা হয়েছে। 8,401,757 total views, 176 views today |
|
|
|